ঢাকা ১০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারপ্রপ্তদের ভারে ভারাক্রান্ত মুরাদনগরের ৫৩ স্কুল

মোঃ মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ভারপ্রাপ্তরা পালন করছেন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব। শিক্ষক সংকটের ফলে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম। ফলে ভারপ্রাপ্তদের ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২০৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫৩টি বিদ্যালয়েই প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত করে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত করে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এতে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় তাদের উপজেলা শিক্ষা অফিসে দৌঁড়ঝাপেই সময় পার হচ্ছে। বিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে পারছেন না তারা। ফলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

এমনিতেই উপজেলার ৪৬টি বিদ্যালয়ের ১০৭ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। তার ওপর সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করায় যথোপযুক্ত শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘœ ঘটছে। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের মৌলিক শিক্ষায়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফওজিয়া আক্তার এ বিষয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মৃত্যু, অবসরজনিত কারন ও অনেক দিন থেকে পদোন্নতি কাজ বন্ধ থাকায় শূন্য পদ সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের শূন্য পদের তালিকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই সমস্য আর থাকবে না। আশা করি দ্রুত এর সমাধান হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

ভারপ্রপ্তদের ভারে ভারাক্রান্ত মুরাদনগরের ৫৩ স্কুল

আপডেট সময় ০১:৫১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২

মোঃ মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ভারপ্রাপ্তরা পালন করছেন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব। শিক্ষক সংকটের ফলে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম। ফলে ভারপ্রাপ্তদের ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২০৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫৩টি বিদ্যালয়েই প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত করে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত করে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এতে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় তাদের উপজেলা শিক্ষা অফিসে দৌঁড়ঝাপেই সময় পার হচ্ছে। বিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে পারছেন না তারা। ফলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

এমনিতেই উপজেলার ৪৬টি বিদ্যালয়ের ১০৭ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। তার ওপর সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করায় যথোপযুক্ত শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘœ ঘটছে। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের মৌলিক শিক্ষায়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফওজিয়া আক্তার এ বিষয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মৃত্যু, অবসরজনিত কারন ও অনেক দিন থেকে পদোন্নতি কাজ বন্ধ থাকায় শূন্য পদ সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের শূন্য পদের তালিকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই সমস্য আর থাকবে না। আশা করি দ্রুত এর সমাধান হবে।