আন্তর্জাতিক :
করোনাভাইরাসে এখনো একজনও মারা যায়নি ভিয়েতনামে৷ কিন্তু সমাজতান্ত্রিক দেশটিতে কিছু মানুষকে থাকতে হচ্ছে অর্ধাহারে, অনাহারে৷ তাদের জন্য বসানো হয়েছে চালের মেশিন!
২৪ ঘন্টা চাল পাওয়া যায় সেই মেশিন থেকে৷ এটিএম মেশিন থেকে যেমন টাকা পাওয়া যায়, ঠিক সেভাবে বাটন টিপলে দেড় কেজি করে চাল পাওয়া যায় বলে মেশিনটিকে ‘চালের এটিএম’ বলতে চান উদ্যোক্তা হুয়াং তুয়ান আন৷
কয়েক বছর আগে হো চি মিন শহরের হাসপাতালগুলোতে নিজের তৈরি ছোট ছোট ডোরবেল দান করেছিলেন তিনি৷ করোনা-সংকটে কাজ হারানো গরিবদের জন্য এবার তার উদ্যোগেই এসেছে চালের মেশিন৷
সরকারের কঠোর পদক্ষেপের ফলে ভিয়েতনামে করোনা ভাইরাস এখনো বড় সংকট হয়ে ওঠেনি৷ এ পর্যন্ত ২৬৭ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়লেও কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি৷ এশিয়ার এ দেশটিতৈ অঘোষিত লকডাউন চলছে গত ৩১ মার্চ থেকে৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জীবন যাপন করতে হচ্ছে সবাইকে৷ এর ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর, গৃহকর্মী বা লটারির টিকেট বিক্রেতার মতো স্বল্পআয়ের মানুষেরা পড়েছেন বিপদে৷
হুয়াং তুয়ান আন শুধু হো চি মিন শহরে কিছু চালের এটিএম স্থাপন করেছিলেন স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য৷ এখন অবশ্য হ্যানয়, হু এবং দানাং এর মতো বড় শহরের গরীব মানুষেরাও পাচ্ছেন মেশিন থেকে চাল নেয়ার সুবিধা৷
এর ফলে পরিবারের সদস্যদের মুখে তিন বেলা খাবার তুলে দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন যারা, তাদের জীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে৷ স্বামী আপাতত বেকার বলে তিন সন্তান নিয়ে খুব বিপদে পড়েছিলেন নগুয়খন থি লি৷ ‘চালের এটিএম’ তার কষ্ট দূর করতে যে সহায়ক হয়েছে তা জানাতে গিয়ে ৩৪ বছর বয়সি এ নারী বলেন, ‘এই চালের এটিএম থেকে পাওয়া এক ব্যাগ চাল আমাদের খুব কাজে আসছে৷ এই চাল একদিনের জন্য যথেষ্ট৷ এখন শুধু অন্য খাবারগুলো দরকার হয় আমাদের৷ মাঝেমাঝে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্বৃত্ত খাবার দিয়ে দেন৷’