ঢাকা ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোটে সবচেয়ে বড় পরাজয় আ.লীগের: ফখরুল

জাতীয় ডেস্কঃ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় পরাজয় হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীতে ক্ষমতাসীন দলের ‘বিজয় উৎসব’কে এই ‘পরাজয়’ থেকে মানুষের দৃষ্টি সরানোর কৌশল হিসেবে দেখছেন তিনি।

বিএনপির  প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকীকে রাজধানীতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন ফখরুল।
জিয়ার জন্মদিনে রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ‘বিজয় উৎসব’ উপলক্ষে সাজ সাজ রব। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটে জয় উৎযাপনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই উৎসব করছে ক্ষমতাসীন দল।
এবারের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো ভূমিধ্বস বিজয় পেয়েছে। তাদের ভোটপ্রাপ্তির হার ১৯৭৩ সালে দেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনকেও ছাড়িয়ে গেছে। ৭৬ শতাংশেরও বেশি ভোট আর এককভাবে ২৫৭টি আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। তাদের নেতৃত্বে মহাজোট পেয়েছে ২৮৮টি আসন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আসন পেয়েছে সব মিলিয়ে আটটি, ভোট পেয়েছে সাড়ে ১৩ শতাংশের কিছু বেশি। তবে পরাজিত জোটের অভিযোগ, আগের রাতে সিল মেরে এবং ভোটের দিন তাদের সমর্থকদেরকে কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার কারণে এই ফলাফল হয়েছে।

ফখরুল বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের পরাজয় হয়েছে। সঙ্গে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় পরাজয় হয়েছে। কারণ তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’
ভোটের পর বিএনপির জোট ঐক্যফ্রন্টে নানা টানাপড়েন দেখা যাচ্ছে জামায়াতকে নিয়ে। জোটের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেনে কার্যত জামায়াত ছাড়তে বিএনপিকে শর্ত বেঁধে দিয়েছেন। বিএনপি আবার স্বাধীনতাবিরোধী দলটির সঙ্গে জোট চালিয়ে যেতে যায়। এই অবস্থায় ঐক্যফ্রন্ট টিকবে কি না, এ নিয়েও কথা উঠেছে।

ফখরুল বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট আছে, ২০ দলীয়  জোট আছে এবং থাকবে। আমাদের মাঝে  কোনো টানাপড়েন  নেই। এ ব্যাপারে বিরোধী পক্ষ  থেকে যা বলা হচ্ছে, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন দলটির মহাসচিব। বলেন, ‘তিনি একদলীয় শাসনব্যবস্থা  থেকে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা অর্থাৎ গণতন্ত্রের বহুমাত্রিকতার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা,  ভোটের অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সামনে নিয়ে আসেন।’

‘আজকে দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যিনি জাতিকে স্বাধীনতায় অনপ্রাণিত করেছিলেন,  যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন (বিএনপির দাবি, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান) তার জন্মদিনে আওয়ামী লীগ উৎসব পালন করতে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রেও প্রতি তাদের  কোনো শ্রদ্ধা নেই। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু বিশ্বাস করে না।’

দলের প্রতিষ্ঠাতার জন্মদিনে গণতন্ত্রকে ‘মুক্ত’ করা, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করা এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার শপথ নেওয়ার কথাও বলেন ফখরুল।দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, রুহুল আলম চৌধুরী, মো. শাজাহান,  এ  জেড এম জাহিদ  হোসেন, আহমেদ আযম খান,  চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, ফরহাদ হালীম ডোনার, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবসুদ সালাম, শিরিন সুলতানা, আব নাসের মো. রহমাতুল্লাহ সহ যুবদল, ছাত্রদল,  স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, শ্রমিক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে রাতের অন্ধকারে চলে গোমতী নদীর মাটি কাটার মহোৎসব, নির্বিকার প্রশাসন

ভোটে সবচেয়ে বড় পরাজয় আ.লীগের: ফখরুল

আপডেট সময় ০১:২৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০১৯
জাতীয় ডেস্কঃ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় পরাজয় হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীতে ক্ষমতাসীন দলের ‘বিজয় উৎসব’কে এই ‘পরাজয়’ থেকে মানুষের দৃষ্টি সরানোর কৌশল হিসেবে দেখছেন তিনি।

বিএনপির  প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকীকে রাজধানীতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন ফখরুল।
জিয়ার জন্মদিনে রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ‘বিজয় উৎসব’ উপলক্ষে সাজ সাজ রব। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটে জয় উৎযাপনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই উৎসব করছে ক্ষমতাসীন দল।
এবারের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো ভূমিধ্বস বিজয় পেয়েছে। তাদের ভোটপ্রাপ্তির হার ১৯৭৩ সালে দেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনকেও ছাড়িয়ে গেছে। ৭৬ শতাংশেরও বেশি ভোট আর এককভাবে ২৫৭টি আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। তাদের নেতৃত্বে মহাজোট পেয়েছে ২৮৮টি আসন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আসন পেয়েছে সব মিলিয়ে আটটি, ভোট পেয়েছে সাড়ে ১৩ শতাংশের কিছু বেশি। তবে পরাজিত জোটের অভিযোগ, আগের রাতে সিল মেরে এবং ভোটের দিন তাদের সমর্থকদেরকে কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার কারণে এই ফলাফল হয়েছে।

ফখরুল বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের পরাজয় হয়েছে। সঙ্গে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় পরাজয় হয়েছে। কারণ তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’
ভোটের পর বিএনপির জোট ঐক্যফ্রন্টে নানা টানাপড়েন দেখা যাচ্ছে জামায়াতকে নিয়ে। জোটের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেনে কার্যত জামায়াত ছাড়তে বিএনপিকে শর্ত বেঁধে দিয়েছেন। বিএনপি আবার স্বাধীনতাবিরোধী দলটির সঙ্গে জোট চালিয়ে যেতে যায়। এই অবস্থায় ঐক্যফ্রন্ট টিকবে কি না, এ নিয়েও কথা উঠেছে।

ফখরুল বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট আছে, ২০ দলীয়  জোট আছে এবং থাকবে। আমাদের মাঝে  কোনো টানাপড়েন  নেই। এ ব্যাপারে বিরোধী পক্ষ  থেকে যা বলা হচ্ছে, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন দলটির মহাসচিব। বলেন, ‘তিনি একদলীয় শাসনব্যবস্থা  থেকে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা অর্থাৎ গণতন্ত্রের বহুমাত্রিকতার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা,  ভোটের অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সামনে নিয়ে আসেন।’

‘আজকে দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যিনি জাতিকে স্বাধীনতায় অনপ্রাণিত করেছিলেন,  যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন (বিএনপির দাবি, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান) তার জন্মদিনে আওয়ামী লীগ উৎসব পালন করতে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রেও প্রতি তাদের  কোনো শ্রদ্ধা নেই। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু বিশ্বাস করে না।’

দলের প্রতিষ্ঠাতার জন্মদিনে গণতন্ত্রকে ‘মুক্ত’ করা, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করা এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার শপথ নেওয়ার কথাও বলেন ফখরুল।দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, রুহুল আলম চৌধুরী, মো. শাজাহান,  এ  জেড এম জাহিদ  হোসেন, আহমেদ আযম খান,  চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, ফরহাদ হালীম ডোনার, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবসুদ সালাম, শিরিন সুলতানা, আব নাসের মো. রহমাতুল্লাহ সহ যুবদল, ছাত্রদল,  স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, শ্রমিক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।