ধর্ম ও জীবন ডেস্ক:
গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মুহতামিম ও খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন বলেছেন, ‘শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ভোলার বোরহান উদ্দিনের চার শহীদের রক্তও বৃথা যাবে না। তাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে ধর্ম অবমাননারোধ ও শেষ নবী হজরত মোহাম্মদ সা.-এর মর্যাদা সংরক্ষণ আইন পাস হবে ইনশাআল্লাহ।’
মুফতি রুহুল আমীন বলেন, ‘আমরা কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক সম্মেলন, স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎকালে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে ধর্ম অবমাননারোধ এবং শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সা.-এর মর্যাদা সংরক্ষণ আইন পাসের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু এই ব্যাপারে সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এবং ধর্ম অবমাননার প্রচলিত যে আইন আছে তার যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন নানাভাবে ধর্ম অবমাননার মতো অনাকাঙ্ক্ষিক ঘটনা ঘটছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সরকার এর দায়ভার এড়াতে পারে না।’
মুফতি রুহুল আমীন ভোলার তৌহিদি জনতার ছয় দফা দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করে পুলিশের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার আটককৃতদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান।
সভায় বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় আগামীতে এরকম কোনো পরিস্থিতির তৈরি হলে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।
মুফতি মোহাম্মদ তাসনীম ও মুফতি মাকসূদুল হকের পরিচালনায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস মুফতি আব্দুর রউফ, সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা শামছুল হক, সহসভাপতি মাওলানা কাবিরুল ইসলাম, মাওলানা আবুল কালাম, মুফতি আব্দুল হাফিজ, মুফতি মঈনুদ্দিন, মাওলানা হায়াত আলী, মাওলানা শিহাব উদ্দিন, হাফেজ আবু মুসা, তানজীমুল মুদাররিসিনের মাওলানা জিন্নাত আলী, মাওলানা জাহিদ আল হাসান, মাওলানা আতাউর রহমানসহ প্রমুখ নেতারা বক্তব্য দেন।
সভা শেষে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।