স্বাস্থ্য ডেস্ক:
অসুস্থ মা হাসপাতালে। বাঁচাতে হলে দিতে হবে কিডনি। কিডনি দিতে প্রস্তুতিও নেন মেয়ে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ার তার হবু বর। এরপরই ওই বিয়ে ভেঙে দিয়ে মাকে কিডনি দান করেছেন কন্যা। ঘটনাটি ভারতে ঘটলেও মানুষগুলো বাংলাদেশের।
বাংলাদেশি তরুণীর এই পদক্ষেপে অবাক হয়েছেন হাসপাতালের নেফ্রোলজিস্ট এবং ট্রান্সপ্লান্ট সার্জনরাও। সাধারণত কম বয়সি অবিবাহিত মহিলাদের কিডনি দান করতে উত্সাহ দেওয়া হয় না, তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। কিন্তু এই মেয়েকে দাবিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। ২১ জুলাই সফলভাবেই হয়েছে কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার।
মণিপাল হাসপাতালের নেফ্রোলজিস্ট ডা. শংকরণ সুন্দর জানিয়েছেন, ‘যুবতীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানার পর, ওর বাবাকে বলি যে তিনি সত্যিই খুব ভাগ্যবান এমন এক কন্যা সন্তানের বাবা হতে পেরে’। মেয়ের এমন কাজে গর্বিত ও আবেগাপ্লুত বাবা অবশ্য ডা. সুন্দরকে জানিয়েছেন তাদের পরিবারকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে দুই কন্যা সন্তান থাকার জন্যে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার মেয়েই তো পরিবারকে বাঁচাল।
অবশ্য বাংলাদেশি এই পরিবার ও মেয়ের কোনো পরিচয় প্রকাশ করেনি ভারতীয় ওই গণমাধ্যম।