ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাথা ঝুঁকে মোবাইল ব্যবহারে মেরুদণ্ডের ক্ষতি

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
মোবাইল ডিভাইসগুলো এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী, বার্তা আদান প্রদান, ইন্টারনেট ব্রাউজিংসহ বিভিন্ন কারণের দিনের অনেকটা সময় কেটে যায় মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্রমাগত মোবাইল স্ক্রিনে মাথা ঝুঁকে তাকিয়ে থাকা মেরুদণ্ডের জন্য ক্ষতিকর।
নিউইয়র্কের স্পাইন সার্জারি ও রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিনের মেরুদণ্ড অস্ত্রোপচার বিভাগের প্রধান ড. কেনেথ হংসরাজের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। মেরুদণ্ডে মাথার নাড়াচাড়ায় কি প্রভাব পরে সেটা মূল্যায়নে তার গবেষণা মার্কিন ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, বেশিরভাগ মানুষ মোবাইলে বার্তা আদান প্রদানের সময় একটু ঝুঁকে পড়ে। যখন মাথা সোজা থাকে তখন মেরুদণ্ডের উপর ১০ থেকে ১২ পাউন্ড চাপ পড়ে যা একটি স্বাভাবিক মানুষের মাথার ওজনের সমান। কিন্তু মাথা ঝুঁকে আসলে মেরুদণ্ডের উপর চাপ বৃদ্ধি পায়। মাথা ১৫ ডিগ্রি ঝুঁকে পড়লে মেরুদণ্ডে প্রায় ২৭ পাউন্ড চাপ পড়ে, ৩০ ডিগ্রি কোণে পড়ে ৪০ পাউন্ড, ৪৫ ডিগ্রি কোণে ৪৯ পাউন্ড এবং ৬০ ডিগ্রি কোণে মাথা ঝুঁকে পড়লে মেরুদণ্ডে ৬০ পাউন্ড চাপ পড়ে। ‘টেক্সট নেক’ বা বার্তা আদান প্রদানের সময় ঝুঁকে পড়ার প্রবণতায় মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ড. হংসরাজ বলেন, এটা রীতিমত মহামারীতে পরিণত হয়েছে, অথবা বলতে পারেন যে সব খানেই এটি (টেক্সট নেক) দেখা যাচ্ছে। আপনার চারপাশে দেখুন, সবাই মাথা নুইয়ে চলছে। যদি এই মহামারী অব্যাহত থাকে তাহলে খুব দ্রুতই অনেক মানুষকে মেরুদণ্ডের জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
মানুষ দিনে গড়ে দুই থেকে চার ঘণ্টা বার্তা আদান প্রদান, ই মেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ই বুক, প্রিন্ট বুক ও ম্যাগাজিন পাঠ করে থাকে যা বছরে ৭০০ থেকে ১৪০০ ঘণ্টা পর্যন্ত দাঁড়ায়। হাইস্কুল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সেটি প্রায় ৫০০০ ঘণ্টা। দীর্ঘসময় ধরে মেরুদণ্ডের টিস্যুতে চাপ পড়লে স্নায়ু ও মেরুদণ্ডের সংযোগস্থলে সমস্যা হতে পারে। অনেক চিকিৎসক জানিয়েছেন, টেক্সট ব্যাক সমস্যার কারণে ঘাড়, মাথা ও পিঠ ব্যথার রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন।
মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারের সময় মাথা ঝোঁকানোর প্রবণতার সমাধান হয়তো নেই। ড. হংসরাজ বলেছেন, মানুষের উচিত বার্তা পাঠ করার সময়ে মাথা না ঝুঁকিয়ে সোজা রেখে বরং চোখ ব্যবহার করা উচিত। মাথার সঠিক অবস্থানটা এমন হওয়া উচিত যেন দুই কাঁধ ও দুই কান সমান্তরালে থাকে। ওয়াশিংটন পোস্ট।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মাথা ঝুঁকে মোবাইল ব্যবহারে মেরুদণ্ডের ক্ষতি

আপডেট সময় ০২:১০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০১৭
লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
মোবাইল ডিভাইসগুলো এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী, বার্তা আদান প্রদান, ইন্টারনেট ব্রাউজিংসহ বিভিন্ন কারণের দিনের অনেকটা সময় কেটে যায় মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্রমাগত মোবাইল স্ক্রিনে মাথা ঝুঁকে তাকিয়ে থাকা মেরুদণ্ডের জন্য ক্ষতিকর।
নিউইয়র্কের স্পাইন সার্জারি ও রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিনের মেরুদণ্ড অস্ত্রোপচার বিভাগের প্রধান ড. কেনেথ হংসরাজের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। মেরুদণ্ডে মাথার নাড়াচাড়ায় কি প্রভাব পরে সেটা মূল্যায়নে তার গবেষণা মার্কিন ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, বেশিরভাগ মানুষ মোবাইলে বার্তা আদান প্রদানের সময় একটু ঝুঁকে পড়ে। যখন মাথা সোজা থাকে তখন মেরুদণ্ডের উপর ১০ থেকে ১২ পাউন্ড চাপ পড়ে যা একটি স্বাভাবিক মানুষের মাথার ওজনের সমান। কিন্তু মাথা ঝুঁকে আসলে মেরুদণ্ডের উপর চাপ বৃদ্ধি পায়। মাথা ১৫ ডিগ্রি ঝুঁকে পড়লে মেরুদণ্ডে প্রায় ২৭ পাউন্ড চাপ পড়ে, ৩০ ডিগ্রি কোণে পড়ে ৪০ পাউন্ড, ৪৫ ডিগ্রি কোণে ৪৯ পাউন্ড এবং ৬০ ডিগ্রি কোণে মাথা ঝুঁকে পড়লে মেরুদণ্ডে ৬০ পাউন্ড চাপ পড়ে। ‘টেক্সট নেক’ বা বার্তা আদান প্রদানের সময় ঝুঁকে পড়ার প্রবণতায় মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ড. হংসরাজ বলেন, এটা রীতিমত মহামারীতে পরিণত হয়েছে, অথবা বলতে পারেন যে সব খানেই এটি (টেক্সট নেক) দেখা যাচ্ছে। আপনার চারপাশে দেখুন, সবাই মাথা নুইয়ে চলছে। যদি এই মহামারী অব্যাহত থাকে তাহলে খুব দ্রুতই অনেক মানুষকে মেরুদণ্ডের জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
মানুষ দিনে গড়ে দুই থেকে চার ঘণ্টা বার্তা আদান প্রদান, ই মেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ই বুক, প্রিন্ট বুক ও ম্যাগাজিন পাঠ করে থাকে যা বছরে ৭০০ থেকে ১৪০০ ঘণ্টা পর্যন্ত দাঁড়ায়। হাইস্কুল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সেটি প্রায় ৫০০০ ঘণ্টা। দীর্ঘসময় ধরে মেরুদণ্ডের টিস্যুতে চাপ পড়লে স্নায়ু ও মেরুদণ্ডের সংযোগস্থলে সমস্যা হতে পারে। অনেক চিকিৎসক জানিয়েছেন, টেক্সট ব্যাক সমস্যার কারণে ঘাড়, মাথা ও পিঠ ব্যথার রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন।
মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারের সময় মাথা ঝোঁকানোর প্রবণতার সমাধান হয়তো নেই। ড. হংসরাজ বলেছেন, মানুষের উচিত বার্তা পাঠ করার সময়ে মাথা না ঝুঁকিয়ে সোজা রেখে বরং চোখ ব্যবহার করা উচিত। মাথার সঠিক অবস্থানটা এমন হওয়া উচিত যেন দুই কাঁধ ও দুই কান সমান্তরালে থাকে। ওয়াশিংটন পোস্ট।