ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় নিহত কুমিল্লার দুই শ্রমিকের দাফন সম্পন্ন

স্টাফ রির্পোটারঃ

মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কুমিল্লার মোহাম্মদ মহিন উদ্দিন ও মো. রাজিব মুন্সির মরদেহ শনিবার দুপুরে তাদের নিজ নিজ এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরদেহ পৌঁছানোর পর রাত দেড়টার দিকে তাদের মরদেহের কফিন বুঝে পায় স্বজনরা।

এদিকে তাদের লাশ একনজর দেখার জন্য শনিবার ভোর থেকে উভয়ের বাড়িতে সংশ্লিষ্ট এলাকার শোকাহত মানুষের ভিড় জমে। উভয়ের জানাজায় স্থানীয় এলাকার কয়েকশত লোক অংশগ্রহণ করে।

রাজিব মুন্সির মামাতো ভাই জাহিদ হাসান বলেন, ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিহতদের মরদেহ নামানোর পর শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে আমি রাজিবের মরদেহ গ্রহণ করি। এরপর মরদেহ রাজিবের বাবার বাড়ি দাউদকান্দি উপজেলার ঢাকারগাঁও গ্রামে নিয়ে আসি। শনিবার সকাল ১১টায় সেখানে একটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাজিবকে তার মামার বাড়ি জেলার বরুড়া উপজেলার খোশবাস গ্রামে নিয়ে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দুপুরে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।নিহত রাজিব মুন্সি অবিবাহিত ছিলেন। ৯ মাস পূর্বে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ঋণ করে বহু কষ্টের বিনিময়ে সে মালয়েশিয়া গিয়েছে।’

অপরদিকে দুর্ঘটনায় নিহত আরেক প্রবাসী মোহাম্মদ মহিন উদ্দিনের মরদেহের কফিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনার পর শুক্রবার রাতে একই সময়ে গ্রহণ করেন তার বাবা তাজুল ইসলাম। পরে তার লাশ কুমিল্লার নবগঠিত লালমাই উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের বাড়িতে আনা হয়।

মহিনের চাচা জামাল উদ্দিন বলেন, ‘শুক্রবার রাতে লাশের কফিন নিয়ে রওনা হয়ে শনিবার ভোরে দুর্লভপুর গ্রামে নিয়ে আসা হয়। শনিবার বাদ জোহর দুর্লভপুর গ্রামের উত্তরপাড়া বড় বাড়ি মসজিদের সামনে জানাজা শেষে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নিহত মহিনের বাবা-মা, স্ত্রী ও এক বছরের শিশু সন্তান রয়েছে। তার বাবা তাজুল ইসলাম কৃষি কাজ করে পরিবার চালান। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে মহিন দ্বিতীয় সন্তান। গত ৭ মাস পূর্বে মহিন মালয়েশিয়ায় যান।’

উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে মালয়েশিয়ার সেপাং শহরে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে পাঁচজন বাংলাদেশিসহ ১১ জন শ্রমিক নিহত হন। নিহতদের মধ্যে কুমিল্লার রাজিব ও মহিন ছাড়া অপর ৩ জনের মধ্যে ২ জনের বাড়ি চাঁদপুর ও ১ জনের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মালয়েশিয়ায় নিহত কুমিল্লার দুই শ্রমিকের দাফন সম্পন্ন

আপডেট সময় ০৬:১৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০১৯
স্টাফ রির্পোটারঃ

মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কুমিল্লার মোহাম্মদ মহিন উদ্দিন ও মো. রাজিব মুন্সির মরদেহ শনিবার দুপুরে তাদের নিজ নিজ এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরদেহ পৌঁছানোর পর রাত দেড়টার দিকে তাদের মরদেহের কফিন বুঝে পায় স্বজনরা।

এদিকে তাদের লাশ একনজর দেখার জন্য শনিবার ভোর থেকে উভয়ের বাড়িতে সংশ্লিষ্ট এলাকার শোকাহত মানুষের ভিড় জমে। উভয়ের জানাজায় স্থানীয় এলাকার কয়েকশত লোক অংশগ্রহণ করে।

রাজিব মুন্সির মামাতো ভাই জাহিদ হাসান বলেন, ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিহতদের মরদেহ নামানোর পর শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে আমি রাজিবের মরদেহ গ্রহণ করি। এরপর মরদেহ রাজিবের বাবার বাড়ি দাউদকান্দি উপজেলার ঢাকারগাঁও গ্রামে নিয়ে আসি। শনিবার সকাল ১১টায় সেখানে একটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাজিবকে তার মামার বাড়ি জেলার বরুড়া উপজেলার খোশবাস গ্রামে নিয়ে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দুপুরে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।নিহত রাজিব মুন্সি অবিবাহিত ছিলেন। ৯ মাস পূর্বে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ঋণ করে বহু কষ্টের বিনিময়ে সে মালয়েশিয়া গিয়েছে।’

অপরদিকে দুর্ঘটনায় নিহত আরেক প্রবাসী মোহাম্মদ মহিন উদ্দিনের মরদেহের কফিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনার পর শুক্রবার রাতে একই সময়ে গ্রহণ করেন তার বাবা তাজুল ইসলাম। পরে তার লাশ কুমিল্লার নবগঠিত লালমাই উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের বাড়িতে আনা হয়।

মহিনের চাচা জামাল উদ্দিন বলেন, ‘শুক্রবার রাতে লাশের কফিন নিয়ে রওনা হয়ে শনিবার ভোরে দুর্লভপুর গ্রামে নিয়ে আসা হয়। শনিবার বাদ জোহর দুর্লভপুর গ্রামের উত্তরপাড়া বড় বাড়ি মসজিদের সামনে জানাজা শেষে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নিহত মহিনের বাবা-মা, স্ত্রী ও এক বছরের শিশু সন্তান রয়েছে। তার বাবা তাজুল ইসলাম কৃষি কাজ করে পরিবার চালান। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে মহিন দ্বিতীয় সন্তান। গত ৭ মাস পূর্বে মহিন মালয়েশিয়ায় যান।’

উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে মালয়েশিয়ার সেপাং শহরে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে পাঁচজন বাংলাদেশিসহ ১১ জন শ্রমিক নিহত হন। নিহতদের মধ্যে কুমিল্লার রাজিব ও মহিন ছাড়া অপর ৩ জনের মধ্যে ২ জনের বাড়ি চাঁদপুর ও ১ জনের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।