ঢাকা ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাশরাফির ১০০

খেলাধূলা ডেস্কঃ

ম্যাচের যা ফলাফল, তাতে হয়ত দিনটাকে মনে রাখার কোনো রসদ খুঁজে পাবেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে, পরিসংখ্যান দিয়ে মাপলে গতকালকের দিনটাকে অধিনায়ক হিসেবে তিনি মনে রাখতেই পারেন। কারণ, নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে তিনি পেয়েছেন অন্যরকম একটা সেঞ্চুরি। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে শততম বারের মতো তিনি বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে নামলেন টস করতে।

এর মধ্যে গতকালই ৭১তম ওয়ানডে খেলেন মাশরাফি। আর অবসর নেওয়ার আগে ২৮টি টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করে গেছেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অধিনায়ক। যদিও, অধিনায়ক মাশরাফির শুরুটা হয়েছিল টেস্ট দিয়ে। ২০০৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রথম টেস্টে অধিনায়ক হিসেবেই নেমেছিলেন। যদিও, দ্বিতীয় দিনেই ইনজুরির সুবাদে লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান তিনি। ম্যাচটাতে ৯৫ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। তাই, পরিসংখ্যান মতে তিনি সাদা পোশাকে অধিনায়ক হিসেবে শতভাগ সফল।

অধিনায়ক হিসেবে শততম ম্যাচ খেলার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে, তাকে থামতে হয় ৯৪টি ম্যাচেই। এর মধ্যে আছে ৩৪টি টেস্ট, ৩৭টি ওয়ানডে ও ২৩টি টি-টোয়েন্টি। এর পরেই আছে আরেক সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। তিনি ৬৯টি ওয়ানডে ও ১৮টি টেস্ট—মানে মোট ৮৭টি ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

মাশরাফি যে ১০০টা ম্যাচ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাতে সাফল্যের পাল্লাটাই ভারী। কারণ তিনি এর মধ্যে জিতেছেন ৫১টি ম্যাচ। হেরেছেন ৪৬টি ম্যাচ। বারবার ইনজুরিতে না পড়লে কোনো সন্দেহ ছাড়াই বলা যায় অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচ ও জয়ের সংখ্যা আরও বাড়ত মাশরাফির।

যদিও স্মরণীয় এই ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখা হলো না মাশরাফির। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দল হেরে গেল আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। আর মাশরাফি নিজেও ৮.৩ বলে ৩৩ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। এর আগে ব্যাট হাতে ১৪ বল খেলে নয় রান করে অপরাজিত থাকেন।

সব মিলিয়ে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তিনি অধিনায়কত্ব করেছেন ৩২২টি ম্যাচ। ৩০০’র বেশি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করাদের মধ্যে ধোনি বাদেও আছেন আরও দু’জন। তারা হলেন—অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং (৩২৪) ও নিউজিল্যান্ডের স্টিফেন ফ্লেমিং (৩০৩)। ২০০’র বেশি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা ক্রিকেটার আছেন চারজন। তারা হলেন—দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ (২৮৬), অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান বোর্ডার (২৭১), শ্রীলঙ্কার অর্জুনা রানাতুঙ্গা (২৪৯) ও ভারতের মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন (২২১)।

সর্বাধিক ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক

নাম ম্যাচ জয়

মাশরাফি বিন মুর্তজা ১০০ ৫১

মুশফিকুর রহিম ৯৪ ২৬

হাবিবুল বাশার সুমন ৮৭ ৩০

সাকিব আল হাসান ৮০ ৩০

মোহাম্মদ আশরাফুল ৬২ ১০

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

মাশরাফির ১০০

আপডেট সময় ০৫:৫৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
খেলাধূলা ডেস্কঃ

ম্যাচের যা ফলাফল, তাতে হয়ত দিনটাকে মনে রাখার কোনো রসদ খুঁজে পাবেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে, পরিসংখ্যান দিয়ে মাপলে গতকালকের দিনটাকে অধিনায়ক হিসেবে তিনি মনে রাখতেই পারেন। কারণ, নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে তিনি পেয়েছেন অন্যরকম একটা সেঞ্চুরি। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে শততম বারের মতো তিনি বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে নামলেন টস করতে।

এর মধ্যে গতকালই ৭১তম ওয়ানডে খেলেন মাশরাফি। আর অবসর নেওয়ার আগে ২৮টি টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করে গেছেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অধিনায়ক। যদিও, অধিনায়ক মাশরাফির শুরুটা হয়েছিল টেস্ট দিয়ে। ২০০৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রথম টেস্টে অধিনায়ক হিসেবেই নেমেছিলেন। যদিও, দ্বিতীয় দিনেই ইনজুরির সুবাদে লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান তিনি। ম্যাচটাতে ৯৫ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। তাই, পরিসংখ্যান মতে তিনি সাদা পোশাকে অধিনায়ক হিসেবে শতভাগ সফল।

অধিনায়ক হিসেবে শততম ম্যাচ খেলার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে, তাকে থামতে হয় ৯৪টি ম্যাচেই। এর মধ্যে আছে ৩৪টি টেস্ট, ৩৭টি ওয়ানডে ও ২৩টি টি-টোয়েন্টি। এর পরেই আছে আরেক সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। তিনি ৬৯টি ওয়ানডে ও ১৮টি টেস্ট—মানে মোট ৮৭টি ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

মাশরাফি যে ১০০টা ম্যাচ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাতে সাফল্যের পাল্লাটাই ভারী। কারণ তিনি এর মধ্যে জিতেছেন ৫১টি ম্যাচ। হেরেছেন ৪৬টি ম্যাচ। বারবার ইনজুরিতে না পড়লে কোনো সন্দেহ ছাড়াই বলা যায় অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচ ও জয়ের সংখ্যা আরও বাড়ত মাশরাফির।

যদিও স্মরণীয় এই ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখা হলো না মাশরাফির। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দল হেরে গেল আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। আর মাশরাফি নিজেও ৮.৩ বলে ৩৩ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। এর আগে ব্যাট হাতে ১৪ বল খেলে নয় রান করে অপরাজিত থাকেন।

সব মিলিয়ে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তিনি অধিনায়কত্ব করেছেন ৩২২টি ম্যাচ। ৩০০’র বেশি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করাদের মধ্যে ধোনি বাদেও আছেন আরও দু’জন। তারা হলেন—অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং (৩২৪) ও নিউজিল্যান্ডের স্টিফেন ফ্লেমিং (৩০৩)। ২০০’র বেশি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা ক্রিকেটার আছেন চারজন। তারা হলেন—দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ (২৮৬), অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান বোর্ডার (২৭১), শ্রীলঙ্কার অর্জুনা রানাতুঙ্গা (২৪৯) ও ভারতের মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন (২২১)।

সর্বাধিক ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক

নাম ম্যাচ জয়

মাশরাফি বিন মুর্তজা ১০০ ৫১

মুশফিকুর রহিম ৯৪ ২৬

হাবিবুল বাশার সুমন ৮৭ ৩০

সাকিব আল হাসান ৮০ ৩০

মোহাম্মদ আশরাফুল ৬২ ১০