ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে রাতভর অভিযান, নিহত ৬০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় তাদের নির্বিচার গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬০ জন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।

জানা যায়, ভুক্তভোগী পরিবার বা স্থানীয়রা নিহত সবার মরদেহ সংগ্রহ করতে পারেনি। মরদেহগুলো বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভকারীদের দমনে জান্তা বাহিনী বন্দুকের পাশাপাশি মেশিনগানের গুলি, গ্রেনেড এবং মর্টারের ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমাদের এলাকার লোকজন জানত ওরা আসবে এবং এর জন্য রাতভর অপেক্ষা করছিল। সেনারা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এমনকি আমরা মর্টার শেলও পেয়েছি। মেশিরগান থেকে প্রচুর গুলি করা হয়েছে। তাজা গুলির পাশাপাশি সেনারা গ্রেনেড লঞ্চার ব্যবহার করছিল বলা হচ্ছে।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, রাস্তা ফাঁকা করতে সাধারণ পথচারীদের দিকেও গুলি করেছে সেনারা।

আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, তারা রাত ৮টা পর্যন্ত মাত্র তিনটি মরদেহ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। বাকিগুলো সেনারা নিয়ে গিয়ে জেয়ামুনি প্যাগোডা এবং কাছাকাছি একটি স্কুলে জড়ো করেছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মিয়ানমারে রাতভর অভিযান, নিহত ৬০

আপডেট সময় ০৪:৩৭:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় তাদের নির্বিচার গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬০ জন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।

জানা যায়, ভুক্তভোগী পরিবার বা স্থানীয়রা নিহত সবার মরদেহ সংগ্রহ করতে পারেনি। মরদেহগুলো বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভকারীদের দমনে জান্তা বাহিনী বন্দুকের পাশাপাশি মেশিনগানের গুলি, গ্রেনেড এবং মর্টারের ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমাদের এলাকার লোকজন জানত ওরা আসবে এবং এর জন্য রাতভর অপেক্ষা করছিল। সেনারা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এমনকি আমরা মর্টার শেলও পেয়েছি। মেশিরগান থেকে প্রচুর গুলি করা হয়েছে। তাজা গুলির পাশাপাশি সেনারা গ্রেনেড লঞ্চার ব্যবহার করছিল বলা হচ্ছে।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, রাস্তা ফাঁকা করতে সাধারণ পথচারীদের দিকেও গুলি করেছে সেনারা।

আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, তারা রাত ৮টা পর্যন্ত মাত্র তিনটি মরদেহ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। বাকিগুলো সেনারা নিয়ে গিয়ে জেয়ামুনি প্যাগোডা এবং কাছাকাছি একটি স্কুলে জড়ো করেছে।