বিনোদন ডেস্কঃ
বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র অভিনেতা সালমান শাহ্। সম্প্রতি সালমান শাহ্ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী রুবি সুলতানার একেরপর এক ভিডিও প্রকাশ-ভক্ত সাধারণের মনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রুবি কখনো এটাকে বলেছেন হত্যাকাণ্ড, কখনো বলছেন আত্মহত্যা, শেষপর্যন্ত তিনি নিজেকে মানসিক রোগী বলেও দাবি করে তার বলা সব বক্তব্যকে অস্বীকার করেছেন।
ইতোমধ্যে সালমানের মা বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার কণ্ঠে আবারো বিচারের দাবি করেছেন। তবে মূল আলোচনা জমে উঠেছে ফেসবুকে। সালমান শাহ্’র মৃত্যুর ফাঁসির দড়ি নিজে পরেছেন নাকি তাকে কেউ পরিয়ে দিয়েছে সেই বিতর্ক আদালতপাড়া পর্যন্ত গড়িয়েছে।
দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী নিজের সন্তানের ‘হত্যা মামলা’ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি মনে করেন তার ছেলেকে হত্যা করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। সেই সিলিং ফ্যান ও ফাঁসির দড়ি সম্প্রতি ঘুরে বেড়াচ্ছে ফেসবুকে। নানান জনের ওয়ালে ঘুরে ঘুরে ছবিটি এখন ভাইরাল। সালমান ভক্তরা এই ছবিটি শেয়ার দিয়ে নিজেদের মনের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন প্রিয় অভিনেতার মৃত্যু বিষয়ে। শুধু ফাঁসির দড়ির ছবি না মৃত্যুর পর দিন সালমান শাহর বাসা থেকে আরো যেসব আলামতের ছবি তোলা হয়েছিল সেসব ছবিও ভাইরাল হয়েছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ভাড়া বাসায় পাওয়া যায় অভিনেতা সালমান শাহর লাশ। ওই ঘটনায় সালমানের বাবা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন। ২০০২ সালে মারা যান সালমান শাহর বাবা। লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে থাকা রুবির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করে আসছিলেন সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী।
পুত্রবধূ সামিরা হক, সামিরার মা লতিফা হক লুসি, চলচ্চিত্রের খল চরিত্রের অভিনেতা ও সালমানের বন্ধু আশরাফুল হক ওরফে ডন, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মাদ ভাই, রুবি, রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, সহকারী নৃত্যপরিচালক নজরুল শেখ, ডেভিড, মোস্তাক ওয়াহিদ, আবুল হোসেন খান ও গৃহকর্মী মনোয়ারাকে ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে আদালতে আবেদন করেন নীলা চৌধুরী।