ঢাকা ১০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারের সমালোচনা নিরাপত্তা পরিষদে

অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

রোহিঙ্গা ইসুতে নিরাপত্তা পরিষদে এক আলোচনায় সদস্য দেশগুলোর সবাই মিয়ানমারের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে এই উন্মুক্ত আলোচনায় নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসাও করা হয়।

সাড়ে তিন ঘণ্টার এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, বলিভিয়াসহ ১২টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন কুয়েতের রাষ্ট্রদূত শেখ সাবাহ খালিদ আল হামাদ।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্দি সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকে যোগ দিয়ে আলোচনার সূত্রপাত ঘটান। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে সৃষ্ট এ সঙ্কটের সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে।

গত ৬ মাসে ৬ লাখ ৮৮ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গার বাংলাদেশ আশ্রয় পাওয়ার তথ্য জানিয়ে গ্রান্দি বলেন, শরণার্থীদের নিরাপদে নিজ আবাস ভূমিতে প্রত্যাবর্তনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আন্তরিক অর্থে সোচ্চার হওয়া দরকার।

এই দফায় আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেও প্রত্যাবাসন এখনও শুরু হয়নি। রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আগে তাদের ফেরানোর ক্ষেত্রে আপত্তি রয়েছে জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর।

জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব মিরোস্ল্যাভ জেনকা বলেন, রাখাইন প্রদেশে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে, সেখানে জাতিসংঘ কর্মকর্তাসহ অন্যদের প্রবেশাধিকার দিতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে মিয়ানমার সরকারকে।

মিরোস্ল্যাভ বলেন, ইতোমধ্যেই ঘটে যাওয়া নৃশংসতার অনেক ঘটনাই ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এখনও যারা পৈত্রিক ভিটেমাটি আঁকড়ে রাখার চেষ্টায় রয়েছেন, সেই রোহিঙ্গারা কী ধরনের হুমকি-ধমকি সহ্য করছেন, সেটিও খতিয়ে দেখার অবকাশ রয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মিয়ানমারের সমালোচনা নিরাপত্তা পরিষদে

আপডেট সময় ০১:২১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
অন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

রোহিঙ্গা ইসুতে নিরাপত্তা পরিষদে এক আলোচনায় সদস্য দেশগুলোর সবাই মিয়ানমারের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে এই উন্মুক্ত আলোচনায় নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসাও করা হয়।

সাড়ে তিন ঘণ্টার এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, বলিভিয়াসহ ১২টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন কুয়েতের রাষ্ট্রদূত শেখ সাবাহ খালিদ আল হামাদ।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্দি সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকে যোগ দিয়ে আলোচনার সূত্রপাত ঘটান। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে সৃষ্ট এ সঙ্কটের সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে।

গত ৬ মাসে ৬ লাখ ৮৮ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গার বাংলাদেশ আশ্রয় পাওয়ার তথ্য জানিয়ে গ্রান্দি বলেন, শরণার্থীদের নিরাপদে নিজ আবাস ভূমিতে প্রত্যাবর্তনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আন্তরিক অর্থে সোচ্চার হওয়া দরকার।

এই দফায় আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেও প্রত্যাবাসন এখনও শুরু হয়নি। রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আগে তাদের ফেরানোর ক্ষেত্রে আপত্তি রয়েছে জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর।

জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব মিরোস্ল্যাভ জেনকা বলেন, রাখাইন প্রদেশে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে, সেখানে জাতিসংঘ কর্মকর্তাসহ অন্যদের প্রবেশাধিকার দিতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে মিয়ানমার সরকারকে।

মিরোস্ল্যাভ বলেন, ইতোমধ্যেই ঘটে যাওয়া নৃশংসতার অনেক ঘটনাই ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এখনও যারা পৈত্রিক ভিটেমাটি আঁকড়ে রাখার চেষ্টায় রয়েছেন, সেই রোহিঙ্গারা কী ধরনের হুমকি-ধমকি সহ্য করছেন, সেটিও খতিয়ে দেখার অবকাশ রয়েছে।