এন এ মুরাদ, মুরাদনগর।।
আনন্দ যাত্রায় নাড়ির টানে বাড়ির দিকে ফিরছে মানুষ। শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে প্রিয়মুখ গুলোর খুব নিকটে এসেই পড়ছে যানজটে। গাড়ীর দীর্ঘ লাইন দেখলে বোঝার কোন উপায় নেই এটি কি ঢাকা শহর, নাকি কোম্পানীগঞ্জ? ভোর থেকে থেকে শুরু করে দফায় দফায় সৃষ্টি হয় যানজট। প্রতিদিনের এই যানজটের কারনে রাগে ক্ষোভে ফোসে উঠছে সর্বসাধারন। কেউ সঠিক সময়ে গন্তব্য স্থানে পৌছতে পারছেনা। কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় এভাবেই প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে কয়েক কিলোমিটার যানজট।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় , স্ট্যান্ড ছেড়ে রোডের উপর যেখানে সেখানে সিএনজি ও বড় বড় গাড়ি পার্কিং । রোডের উপর জনতা-ফারজানা-সুগন্ধা গাড়ীর জায়গা দখল নিয়ে সাঁড়ের মত লড়াই। ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার এলোমেলো বিচরণ ও কর্দমাক্ত রাস্তাই যানজটের মূল কারন। এখানে বাসস্ট্যন্ড আছে এর ব্যাবহার নেই। বাস স্ট্যান্ডের পাবলিক টয়েল বদ্ধ। জরুরি হাজত সারতে নারী পুরুষ পড়ছে বিড়ম্বনায়।
জানা যায়, প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় গাড়িগুলো চলার কারনে যানজট নিয়ে বার বার সংবাদ প্রচার করে প্রশাসনের দৃষ্টিতে দেওয়া হলেও দৃশ্যমান কোন প্রতিকার নেই। প্রশাসন মাঝে মধ্যে দু’একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এতে বড় ধরনের কোন সাজা না থাকায় গাড়ি গুলো খেয়াল খুশিমত ঘুড়ে বেড়ায় মহাসড়কে।
ঢাকা ফেরত মেহেদী হাসান বলেন, ঢাকা থেকে বের হলে রোড়ে কিছু জ্যাম থাকবে ওটা স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নিতে পারি। কিন্তু কোম্পানীগঞ্জ এসে গাড়িতে ত্রিশ মিনিট বসে থাকা ওটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক।
চট্রগ্রাম থেকে পরিবার নিয়ে বাড়িতে ঈদ করতে আসা ইমতিয়াজ হোসেন জানান, কোম্পানীগঞ্জের যানজটে আমরা অতিষ্ঠ। একবারও বাড়িতে আসলে এই জায়গা জ্যাম মুক্ত পাইনা।
তিশা পরিবহনের ড্রাইভার হেল্পাররা জানান, রোডের উপর গাড়ি পাকিং আর কুমিল্লাগামী গাড়ি গুলোর কারণে এই যানজট। আমরা একটা নিদিষ্ট সময় নিয়ে কাউন্টার থেকে বাহির হয়ে কোম্পনাীগঞ্জ পার হতে সময় লেগে যায় ২০-২৫ মিনিট।
মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মৃদুল কান্তি কুরী বলেন, যানজট নিরসনে নিয়মিত একটা পার্টি ডিউটি করে। ঈদকে সামনে রেখে ২০ জুলাই পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জে দুটি পার্টি যানজজট মুক্ত রাখতে কাজ করবে। মানুষ যেন স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাড়ি ফিরতে পারে সেজন্য আমিও সার্বক্ষণিক রোডে সময় দিচ্ছি।