সুমন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরে আসন্ন ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উটেছে প্রচার প্রচারণা। ২৮জানুয়ারি প্রচারণার শেষ দিন ৩১জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এ উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের মধ্যে ২১টি ইউনিয়নে। মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারনে মুরাদনগর সদর ইউনিয়নে আপাতত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এরই মাঝে প্রার্থীরা ভোটারদেরকে উন্নয়নের নানা আশ্বাস ও নির্বাচিত হতে পারলে ডিজিটাল ইউনিয়ন পরিষদ গড়াসহ নানান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
প্রতিক বরাদ্ধের পর থেকে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জাহাপুর ইউনিয়নের টেলিফোন প্রতিকের (সতন্ত্র) চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ সওকত আহাম্মেদ। তিনি এ ইউনিয়নের ১৭টি গ্রামে কয়েক দফা প্রচারনা করেছেন। এছাড়া নির্বাচনের পূর্ব মুহুর্তে প্রচার প্রচারণা ও টেলিফোনে ভোট চেয়ে ব্যাপক ভাবে গনসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন তিনি। গ্রামের তরুন ও নতুন ভোটারদের ভোটের মাঠে আকৃষ্ট করার চেষ্টাও চালাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, তিনি ও তার পরিবার করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আরম্ভ হওয়ার পর থেকে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে আর্থিক ভাবে সহযোগীতা করে এলাকার বহু মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন। এ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে দেখা যায় তিনি বর্তমানেও অসহায়, নির্যাতিত, অবহেলিত মানুষদের পাশে অবস্থান নেয়ার প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ছোট ছোট উঠান বৈঠকের আয়োজনের মাধ্যমে ইতিমধ্যে এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে নিজের জানান দিয়েছেন তিনি।
এ ইউনিয়নের বরইয়াকুড়ি গ্রামের ভোটার হুমায়ন বলেন, সওকত আহাম্মদ তরুন প্রজন্মের মাঝে সৎ, ন্যায়-পরায়ন ও জনবান্ধব নেতা। বিপদে, দুঃসময়ে আমরা তার নিকট থেকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা পেয়েছি। তাছাড়া সওকত আহাম্মেদ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এলাকার অনেক যুবক ও বেকার মানুষকে চাকুরি দিয়েছেন। এলাকার নানা উন্নয়নমূলক কাজে তিনি মানুষের পাশে থাকেন।
আমরা আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ সওকত আহাম্মদ বলেন, আমি জাহাপুর ইউনিয়নের সকল শ্রেনীপেশার মানুষের সেবা করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে নির্বাচন করতে এসেছি। আমি নির্বাচিত হতে পারলে এ ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ব। এবং সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাব। আমি আশাবাদী যেভাবে এ ইউনিয়নের সর্বস্তরের ভোটারদের মাঝে টেলিফোন মার্কার প্রতি যে গণজোয়ার উঠেছে তারা ৩১ জানুয়ারি আমাকে টেলিফোন মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয় সু-নিশ্চিত করবে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ হলে ইনশাআল্লাহ আমি জয়লাভ করবো।