শামীম আহাম্মদ :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পায়ব হাজী আব্দুল গনি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর আহসান উল্লাহ।
শনিবার সকাল আনুমানিক ৮টায় এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতার ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিমের সাথে প্রায়ই বিদ্যালয়ে আসেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর আহসান উল্লাহ।
তার গ্রামের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের খৈয়াখালী গ্রামে।
তিনি মনগড়া অজুহাতে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষকদের অহেতুক জ¦ালাতন করে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিগত ৩ বছর ধরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীরা হয়রাণির শিকার হয়ে আসছে। অন্যান্য বারের মতো শনিবার সকাল আনুমানিক ৮টায় আবারো ওই বিদ্যালয়ে এসে তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত ক্লাশ চলাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলী, সহকারী শিক্ষক মমিনুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলামকে শিক্ষার্থীদের সামনে অপমানমূলক আচরণ করে।
ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরাও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কমিটির লোকজনসহ এলাকাবাসী স্কুলে এসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বাধ্য হয়ে শিক্ষক-শিক্ষাথী, কমিটির লোকজনসহ এলাকাবাসীর তোপের মুখে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর আহসান উল্লাহ স্কুল থেকে কোনরকমে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করে।
কমিটির সদস্য অহিদুর রহমান জানান, বুয়েটের সাবেক প্রফেসর আহসান উল্লাহ দীর্ঘ ৩ বছর যাবত বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষকদের অহেতুক হয়রানী করে আসছে। তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। আমরা এ অবস্থা থেকে মুক্তি চাই। অপর সদস্য দেলোয়ার হোসেন জানান, বুয়েটের সাবেক প্রফেসর আহসান উল্লাহ বিভিন্ন সময় স্কুলে এসে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভয়ভীতি দেখায় এবং শিক্ষার্থীদের সাথেও খারাপ আচরণ করতে দ্বিধা করেনা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান, আমি ২০১৭ সালের ১লা জানুয়ারি এ বিদ্যালয়ে যোগদান করি। যোগদানের পর থেকেই তার অনাকাঙ্খিত আচরণ বিদ্যালয় পরিচালনায় সার্বিক ক্ষতি-সাধিত হচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, বুয়েটের সাবেক প্রফেসর আহসান উল্লাহ আমার সরাসরি শিক্ষক। মাঝে মধ্যে আমার সাথে স্যারকে বিদ্যালয়ে নিয়ে যাই। ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি খুবই দু:খজনক।
বুয়েটের সাবেক প্রফেসর আহসান উল্লাহ বলেন, মুরাদনগর আমার এলাকা হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসা করি। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যরা শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে অবৈধ ভাবে প্রাইভেট পড়াচ্ছে। বিষয়টির প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষকের ইন্ধনে আমার উপর চড়াও হয়।