সফিকুল ইসলাম, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সব সড়ক এখন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার দখলে। উপজেলার প্রধান সড়ক ছাপিয়ে গ্রামের অলিগলিতে চলছে বেপরোয়া এসব যানবাহন। দিনের পর দিন এসব যাবাহনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতে নিত্য যানজটের কবলে পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কোন নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে চালকদের বেপরোয়া গতির কারনে প্রতিনিয়তই বাড়ছে নানা দুর্ঘটনা। বিশেষকরে অনভিজ্ঞ লোকেরা অটোরিকশা চালানোর পেশায় জড়িত হওয়ায় এবং অনেক চালক অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়ায় দিন দিন দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। মানুষের এই ভোগান্তি ও দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেতে এবং সড়কে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন উপজেলাবাসি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়কগুলোতে বেপরোয়াভাবে অটোরিকশাগুলো চলছে। কে কার আগে যাবে চলছে সেই প্রতিযোগীতা। বিশেষকরে অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক চালকদের মাঝে এই প্রতিযোগীতাটা বেশী দেখা যায়। তাছাড়া ব্যাটারী চালিত রিকশাগুলো রাস্তায় যত্রতত্র রাখার কারনে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এসব রিকশায় লাগানো হয়েছে হাইড্রোলিক হর্ন ও এলইডি লাইট। এর ফলে হচ্ছে শব্দ দূষন এবং এলইডি লাইট এর কারনে রাতে বাড়ছে দুর্ঘটনা।

মুরাদনগর বাজারের ব্যবসায়ী আবু কাউছার বলেন, বর্তমানে অটোরিকশার জন্য কাউকে স্বাচ্ছন্দে চলাচল করা যায় না। সড়কে দ্রুত গতিতে চলাচল করায় প্রায়ই তারা গায়ের উপর উঠিয়ে দেয়। অনেক সময় অঙ্গহানির ঘটনাও ঘটে। বর্তমানে যাত্রীর চেয়ে সড়কে অটোরিকশার পরিমাণ অনেক বেশি। আবার এসব যানবাহনকে ঘিরে অনেক জায়গায় চলে চাঁদাবাজি।
স্কুল শিক্ষার্থী সাফায়াত ইসলাম বলেন, রাস্তা দিয়ে হেটে স্কুলে যেতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। অনেক সময় আমাদের শরীরের সাথে লাগিয়ে দেয়। অটোরিকশার সাথে লেগে আমাদের অনেকের স্কুল ড্রেস ছিড়ে গেছে।
পথচারী জোনায়েদ বক্তার বলেন, ব্যটারি চালিত এসব অটোরিকশার কারণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ এখন রাস্তায় চলাচল করতে ভয় পায়। প্রতিদিনই মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। আমি উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।
উপজেলা সদরে বসবাসকারি একজন স্কুল শিক্ষক আক্তার হোসেন জানান, ভোর থেকে গভীর রাত অবধি ব্যাটারিচালিত রিকশা উপজেলা সদরের ব্যস্ততম সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এরা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চালানোর কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনের উচিত এগুলো আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া। ব্যাটারিচালিত অবৈধ ইজিবাইক ও রিকশা এখন উপজেলাবাসির গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এব্যপারে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, আমরা চেষ্টা করছি কিন্তু জনবলের অভাবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা।