সুমন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) এর নির্মাণাধীন কাজ পরিদর্শন করেছেন জাহাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ শওকত আহমেদ।
বুধবার দুপুরে উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর ইটিপি’র কাজ সরোজমিনে দেখতে যান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডের উপ-মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম রাজু, জাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম মহিউদ্দিন, ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন রাসেল, মুক্তার হোসেন সহ গ্যাস ফিল্ডের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত কর্মকর্তাবৃন্দ।
জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে জাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক পরিবেশের ছারপত্র প্রদানের জন্য বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড সরোজমিনে পরিদর্শন করেন ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ শওকত আহমেদ। তখন বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলনের ৪০ বছর পার হলেও স্থাপন করা হয়নি বর্জ্য পরিশোধনাগার এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি)। বাখরাবাদ গ্যাস ফিল কোম্পানির বর্জ্যে দূষিত হচ্ছিল আশপাশের পরিবেশ। তখন বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) প্লান্ট স্থাপন করা হবে এমন শর্তসাপেক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ছারপত্র প্রদান করা হয়। এরপরেই এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে টনক নড়ে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কর্তৃপক্ষের। পরে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি কর্তৃপক্ষ প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
এ বিষয়ে বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) রফিকুল ইসলাম রাজু বলেন, ইটিপি প্লান্ট এর কাজ ৯০ভাগ শেষ হয়ে গেছে। চলতি বছরের শেষের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু হবে।
জাহাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ শওকত আহমেদ বলেন, প্রতি বছর ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক বাখরাবাদ গ্যাস ড্রিস্টিবিউশন কোম্পানিকে পরিবেশের ছাড়পত্র প্রদান করতে হয়। আমি ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই গ্যাস ফিল্ডে পরিদর্শনে গেলে বর্জ্য শোধনাগার না থাকার বিষয়টি আমার নজরে আসে। পরে কর্তৃপক্ষকে আমি বিষয়টি নিয়ে অবগত করি এবং ওই বছর শর্তসাপেক্ষে ছাড়পত্র প্রদান করি। বর্তমানে এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) নির্মাণ কাজ শেষের দিকে।
প্যান্ট এর কার্যক্রম শেষ হলে আশপাশের পরিবেশের দূষণ অনেকটাই কমে যাবে।