মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ
বিশ্বের ৭৩ দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল করে দেশে ফেরার পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফুলেল সংবর্ধনায় সিক্ত হন বাংলাদেশের গর্ব হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন। বাংলাদেশের আরেক বিজয়ী, ওই প্রতিযোগিতায় পঞ্চম হওয়া হাফেজ নাইমুল হক সাদী-ও সঙ্গে ছিলেন।
সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় ৬-৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের বহনকারী বিমান আজ ভোরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় হাজারো মানুষ তাকে শুভেচ্ছা ও অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দর এলাকায় ভিড় করে। ব্যানার-ফেস্টুন ও ফুল নিয়ে উপস্থিত হন অনেকে।
উল্লেখ্য, গত ৬-৮ অক্টোবর সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ৩০ পারা গ্ররুপে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অংশ নিয়ে বিশ্বের ৮১টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অধিকার করেন বাংলাদেশের কিশোর হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন। ১১ অক্টোবর তার হাতে নগদ ১২০,০০০ রিয়াল (২৬ লাখ টাকা) এবং সনদপত্র তুলে দেন সৌদি আরবের ধর্মমন্ত্রী ড. সালেহ এবং মসজিদুল হারামের খতিব ড. আব্দুর রহমান আস সুদাইস। সে কুমিল্লার মুরাদনগরের সৌদিপ্রবাসী আবুল বাসারের ছেলে। ইতিপূর্বে সে মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম, দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় (২০১৬) দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিল।
অন্যদিকে একই প্রতিযোগিতায় ১৫ পারা গ্রুপে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করে পঞ্চম স্থান অধিকার করে সিলেটের মরহুম মাওলানা হাম্মাদ সাদীর সন্তান হাফেজ নাইমুল হজ সাদী। মামুন ও সাদী উভয়ই আন্তর্জাতিক হাফেজ ও কারি নাজমুল হাসান এর ছাত্র।