ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরের বেইলি ব্রিজ, নাকি মরণ ফাঁদ!

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বেইলি ব্রিজ গুলোর অবস্থা বেহাল। বর্তমানে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের ছোঁয়া না লাগায় প্রতিটি বেইলি ব্রিজ একেকটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পথচারীসহ চলাচল করছে ছোটবড় যানবাহন, ঘটছে দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, মুরাদনগর উপজেলায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ২৩টি বেইলি ব্রিজের অবস্থা একেবারেই নাজুক। গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়ক গুলোর মধ্যে মুরাদনগর-ঢাকা সড়ক, মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়ক, কোম্পানিগঞ্জ-নবীনগর সড়ক, মুরাদনগর-কোম্পানীগঞ্জ-হোমনা সড়ক এবং নবীপুর-শ্রীকাইল সড়কের বেইলি ব্রিজ গুলো একেবারেই জরাজীর্ণ।

প্রায় ৫০ বছর আগে মুরাদনগর-ঢাকা সড়কের থানা সংলগ্ন গোমতীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি খুবই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ব্রিজটির পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। একই অবস্থায় এটি পড়ে আছে ৯ বছর যাবত।

ছয় বছর আগে কর্তৃপক্ষ ব্রিজটিতে ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেওয়া ছাড়ার আর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ-ঢাকা সড়কে ছয়টি বেইলি সেতু রয়েছে। প্রতিটি সেতুর পাটাতন (স্লিপার) ভেঙে গেছে।

সম্প্রতি বোরারচর বাজারের পাশে ব্রিজের পাটাতন ভেঙে বিটুমিন বোঝাই একটি লরি আটকে যায়। এতে ব্যস্ততম এ সড়কে চার ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। একইভাবে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ছালিয়াকান্দি বাজার সংলগ্ন এলাকার বেইলি সেতুটি চাল বোঝাই ট্রাকসহ ভেঙে পড়ে। এতে মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ-ঢাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ তিন-চার দিন বিচ্ছিন্ন ছিল। পরে সেতুটি মেরামত করা হলেও ঝুঁকি থেকে যায়।

মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়কের করিমপুর নামকস্থানের ব্রিজটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চুরি হয়ে যাচ্ছে লোহার বিভিন্ন সরঞ্জাম। এ ছাড়া নবীনগর রোডে ছয়টি, রামচন্দ্রপুরে দুটি, বাঙ্গরা-সংচাইল রোডে ছয়টি, মেটাঙ্গর-শ্রীকাইল রোডে চারটি, সংচাইল-কোরবানপুর রোডে তিনটি, ডুমুরিয়া ও পাঁচকিত্তা রোডে দুটি এবং চাপিতলা রোডে একটি বেইলি সেতুরও একই অবস্থা।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের গৌরীপুর সাব-ডিভিশনের সহকারী প্রকৌশলী রমিজ উদ্দিন মুরাদনগর-ইলেয়টগঞ্জ সড়কের ৬টি ব্রিজের মধ্যে সব গুলো ব্রিজই নড়বড়ে অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) কুমিল্লা নির্বাহী প্রকৌশলী ড. আহাদ উল্লাহ জানান, নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অননুমোদন পেলে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

ছাত্র আন্দেলনে আহতদের হাসপাতালে দেখে উপদেষ্টারা প্রতিদিন অফিসে যাওয়া উচিত –কায়কোবাদ

মুরাদনগরের বেইলি ব্রিজ, নাকি মরণ ফাঁদ!

আপডেট সময় ০১:৩১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০১৯
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বেইলি ব্রিজ গুলোর অবস্থা বেহাল। বর্তমানে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের ছোঁয়া না লাগায় প্রতিটি বেইলি ব্রিজ একেকটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পথচারীসহ চলাচল করছে ছোটবড় যানবাহন, ঘটছে দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, মুরাদনগর উপজেলায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ২৩টি বেইলি ব্রিজের অবস্থা একেবারেই নাজুক। গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়ক গুলোর মধ্যে মুরাদনগর-ঢাকা সড়ক, মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়ক, কোম্পানিগঞ্জ-নবীনগর সড়ক, মুরাদনগর-কোম্পানীগঞ্জ-হোমনা সড়ক এবং নবীপুর-শ্রীকাইল সড়কের বেইলি ব্রিজ গুলো একেবারেই জরাজীর্ণ।

প্রায় ৫০ বছর আগে মুরাদনগর-ঢাকা সড়কের থানা সংলগ্ন গোমতীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি খুবই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ব্রিজটির পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। একই অবস্থায় এটি পড়ে আছে ৯ বছর যাবত।

ছয় বছর আগে কর্তৃপক্ষ ব্রিজটিতে ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেওয়া ছাড়ার আর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ-ঢাকা সড়কে ছয়টি বেইলি সেতু রয়েছে। প্রতিটি সেতুর পাটাতন (স্লিপার) ভেঙে গেছে।

সম্প্রতি বোরারচর বাজারের পাশে ব্রিজের পাটাতন ভেঙে বিটুমিন বোঝাই একটি লরি আটকে যায়। এতে ব্যস্ততম এ সড়কে চার ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। একইভাবে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ছালিয়াকান্দি বাজার সংলগ্ন এলাকার বেইলি সেতুটি চাল বোঝাই ট্রাকসহ ভেঙে পড়ে। এতে মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ-ঢাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ তিন-চার দিন বিচ্ছিন্ন ছিল। পরে সেতুটি মেরামত করা হলেও ঝুঁকি থেকে যায়।

মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়কের করিমপুর নামকস্থানের ব্রিজটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চুরি হয়ে যাচ্ছে লোহার বিভিন্ন সরঞ্জাম। এ ছাড়া নবীনগর রোডে ছয়টি, রামচন্দ্রপুরে দুটি, বাঙ্গরা-সংচাইল রোডে ছয়টি, মেটাঙ্গর-শ্রীকাইল রোডে চারটি, সংচাইল-কোরবানপুর রোডে তিনটি, ডুমুরিয়া ও পাঁচকিত্তা রোডে দুটি এবং চাপিতলা রোডে একটি বেইলি সেতুরও একই অবস্থা।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের গৌরীপুর সাব-ডিভিশনের সহকারী প্রকৌশলী রমিজ উদ্দিন মুরাদনগর-ইলেয়টগঞ্জ সড়কের ৬টি ব্রিজের মধ্যে সব গুলো ব্রিজই নড়বড়ে অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) কুমিল্লা নির্বাহী প্রকৌশলী ড. আহাদ উল্লাহ জানান, নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অননুমোদন পেলে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।