নাজিম উদ্দিনঃ
কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের একটি ডোবা থেকে সুমন মিয়া (৩৮) নামের মুরাদনগর উপজেলার বাইড়া গ্রামের এক যুবকের লাশ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উদ্ধার করেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশ।
নিহত সুমন মিয়া মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানাধীন টনকী ইউপির বাইড়া গ্রামের বড় বাড়ির সৈয়দ আলী ডাক্তারের ছেলে।
লাশ উদ্ধারের পর প্রাথমিক সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কুমেক মর্গে প্রেরন করে পুলিশ।
মৃত্যুর কারন পুলিশ বলতে না পারলেও নিহতের পরিবারের দাবি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
নিহতের বড় ভাই পল্লী চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন মঙ্গলবার দুপুরে অভিযোগ করে বলেন একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল আমাদেরকে বিভিন্ন সময় মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। গত শুক্রবার আমাকে এবং আমার ভাই মোহনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করে। জেলে থেকেই আমার ভাই সুমনের মৃত্যুর খবর পাই। রবিবার জামিনে আমি এবং আমার ভাই মোহন ছাড়া পেয়ে বাড়ীতে এসে আমার ভাইয়ের লাশ দাফন করি। আমরা ধারন করছি সেই ষড়যন্ত্রকারী মহল এবং আমার ছোট ভাই মোহনের স্ত্রী সালমা ইসলাম শাওনের যোগসাজসে পরিকল্পিত ভাবে আমার ভাই সুমনকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা আমার ভাই হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত ও সঠিক বিচারের দাবি জানাই পুলিশ প্রশাসনের কাছে।
নিহতের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন আমার স্বামী শনিবার সকালে বলে গেছে আমি মোহনের বউ শাওনের বাপের বাড়ীতে জাইতেছি তার কাছে জানতে চামু শুধু শুধু আমার দুই ভাইকে কেন জেলে পাঠাইছো। বিকেলে শুনি আমার স্বামীর লাশ পাওয়া গেছে। আমি আমার স্বামী হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চাই।
অভিযোগের ভিত্তিতে মোহনের স্ত্রী সালমা ইসলাম শাওনের বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইল ফোনে(০১৯৫৬-১০১৭৬৩) যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু। প্রতিবেদনে হত্যার আলামত পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।