মুরাদনগর বার্তা ডেস্ক:
কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ্ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের ছোট ভাই আবু কাউছার, অপর ভাই কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির অন্যতম নেতা কাজী শাহ আরফিনসহ মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ৪১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সড়ক-মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা ও নাশকতার করার চেষ্ঠার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। এ মামলায় ৪ জনকে আটক করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মনজুর আলম।
আটককৃতরা হলেন, কাজী শাহ্ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের ছোট ভাই আবু কাউছার(৫০), নবীপুর পূর্ব ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারী কামাল উদ্দিন সরকার(৪০), ধামঘর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম(৫২) ও সহ-সভাপতি কবির হোসেন(৩৯)।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলা ধামঘর ইউনিয়নের মুগসাইর শফিকুল ইসলামের বাড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন সংবাদের বিত্তিতে মুরাদনগর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) শওকত ওসমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোল্লা মজিবুল হক বলেন, কোন ঘটনা ছাড়াই বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভূতুরে মামলা দায়ের করছে পুলিশ। আটককৃতদের প্রততেককে নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়, আর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল হক মোমেনের জানাজা শেষে আবু কাউছার তার উপজেলা সদরের নিজ বাড়িতে ফিরলে সেখান থেকে আটক করে কিন্তু পুলিশ বলছে নাশকতার গোপন বৈঠকের সময় তাদের অটক করা হয়। সম্প্রতি ওই এলাকায় কোন মিটিং-মিছিলের কোন ঘটনা ঘটেনি। এলাকা টার্গেট করে পুলিশ একের পর এক বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছেন।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মনজুর আলম বলেন, পুলিশ বাদী হয়ে নাশকতার অভিযোগে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনা আরো ১৫ জনসহ মোট ৪১ জনের বিরুদ্ধে একটি হয়েছে। আটককৃতদের বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লা আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।