মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় নিজ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টায় আগ্নিদগ্ধ শরমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শরমিনের ভাই শাহেদ বাদি হয়ে স্বামী, শশুর ও শাশুরিকে আসামি করে মুরাদনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঐ মামলায় শশুর ড্রাইবার ইসমাইল হোসেনকে(৫৫) পুলিশ আটক করে।
মৃত্য গৃহবধূ শারমিন আক্তার(২৫) উপজেলার সদর ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের ড্রাইবার ইকবাল হোসেনের স্ত্রী ও হিরাকান্দা গ্রামের মৃত্যু রুস্তম আলীর মেয়ে।
আটককৃত শশুর ড্রাইবার ইসমাইল হোসেন(৫৫) করিমপুর গ্রামের মৃত্যু ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকে শশুর বাড়ীর লোক জন যৌতুকের জন্য শারমিনকে নির্যাতন করতো। গত ১৩ মে দুপুরে ঈদের মার্কেট করা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং শমুর বাড়ির লোকজন তাকে অপমান করে। সেই অপমান শইতে না পেরে এক পর্যায়ে শারমিন অভিমান করে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে নিজ শরিরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাহির থেকে বাড়ীর লোকজন আগুন দেখে দরজা ভেঙ্গে শারমিনকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। পরে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুল রহমান বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবেদুর রহমান ও আমি ঘটনারস্থল পরিদর্শন করেছি। শুক্রবার দুপুরে নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি আত্মহত্যার প্রনোচনার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছে এবং অভিযোগের বিত্তিতে একজনকে আটক করা হয়েছে।