মো: অালাউদ্দিন মুন্সী আলাল, যাত্রাপুর ইউনিয়ন প্রতিনিধিঃ
রোজ সোমবার, ২৪ আগস্ট ২০১৫ ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রাম থেকে রাতের আধারে অপহরন হওয়া স্কুলছাত্রী সোনিয়া (১৫) কে ৮দিন পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার করতে পারেনি মুরাদনগর থানা পুলিশ। এখনো উদ্ধার না হওয়ায় আতংকে দিন কাটাচ্ছেন অপহৃতের পরিবারের সদস্যরা।
অপহৃত স্কুলছাত্রী যাত্রাপুর গ্রামের মতিউর রহমানের মেয়ে। এঘটনায় স্কুলছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখ করে ১০জনকে আসামী করে মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধনী)২০০৩এর ৭/৩০ (অপহরন ও সহায়তার অপরাধ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ২৫/২৭৬।
স্থানীয় ও মামলার বিবরন সুত্রে জানা যায়, যাত্রাপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (২০) এর নেতৃত্বে একদল বখাটে যাত্রাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পাস হওয়া স্কুল ছাত্রী সোনিয়া আক্তারকে র্দীঘদিন ধরে স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্যক্ত করত এবং কুপ্রস্তাব দিত। এ নিয়ে স্কুলছাত্রীর পিতা এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের মাধ্যমে বখাটেদের সাবধান করার চেষ্টা করেন। এতে করে বখাটেরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং স্কুল ছাত্রী সোনিয়ার যে কোন ক্ষতি সাধন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়।
বিবরনে আরো জানা যায়, গত ১৬ই আগষ্ট দিবাগত রাত দেড়টার সময় স্কুলছাত্রী সোনিয়া ও তার ভাবী মোসাঃ মুক্তা বেগম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সোহাগ মিয়ার নেতৃত্বে ৮/১০ জনের একটি দল ভীতি প্রর্দশন করে সোনিয়াকে অপহরন করে নিয়ে যায়। এসময় মুক্তা বেগম চিৎকার চেচামেচি করলে ঘরের অন্য সদস্যরা বেরিয়ে আসে এবং সোনিয়াকে চারদিকে খোজাখুজি করেন। অনেক খোজাখুজি করার পর তাকে না পেয়ে অপহৃতের বাবা মতিউর রহমান মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র বট্ট বলেন, অভিযোক্ত কারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।