মাহফুজুর রহমান রুবেল, মুরাদনগর (কুমিল্লা)ঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কৃষি জমি থেকে অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি কেটে বিক্রি করছে একদল মাটি খেকো ড্রেজার ব্যবসায়ী। উপজেলার চাপিতলা ইউনিয়নের চাপিতলা গ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ার বিলে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে তিন ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলনের করা হচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাপিতলা গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে মীর আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে ফসলি জমিতে ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করছেন। পাইপলাইন সংযোগ দিয়ে উত্তোলিত মাটি কখনো অন্য ফসলি জমি, আবার কখনো পুকুর বা গর্ত ভরাটে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে তিন ফসলি জমি জলাশয়ে পরিণত হয়ে আশপাশের কৃষিজমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
অপর দিকে উপজেলার সিমানাপাড় ২টি ড্রেজার, কোরবানপুর জিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পার্শে পুকুরের ভিতরে ১টি ও তার আরো ৪০০ মিটার দক্ষিণে ২ এবং কোরবানপুর নতুন কবরস্থানের পার্শে ১টি ড্রেজার দেদারসে চলছে।
অভিযোগ রয়েছে, ড্রেজার সিন্ডিকেট প্রথমে একটি জমিতে গর্ত সৃষ্টি করে, পরে আশপাশের জমি ভেঙে পড়তে শুরু করলে মালিকদের জিম্মি করে কম দামে জমি বিক্রিতে বাধ্য করা হয়। এতে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এলাকাবাসীর দাবি, অবৈধ ড্রেজিং কার্যক্রমে শুধু জমিই নয়, আশেপাশের রাস্তা ও ঘরবাড়িও হুমকির মুখে পড়েছে। দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানান তারা।
এবিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস জানান, আলমগীর বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এই ড্রেজার ব্যবসা করছে যা খুবই নিন্দনীয়। আমরা চাই এই এলাকায় কোন ড্রেজান না চলুক।
অভিযুক্ত ড্রেজার ব্যবসায়ী মীর আলমগীর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “আমি ড্রেজার ভাড়ায় এনেছি আমার নিজস্ব জমি ভরাটের জন্য।”
এ বিষয়ে মুরাদনগরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাছান খান বলেন, “অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”