মো: মোশাররফ হোসেন মনির:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় সরকারি খাল অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। অপর দিকে বিষয়টি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস বিষয়টি অবহিত থাকলেও রহস্যজনক কারনে কোন প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়দের মাধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে।
উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের চাপৈর গ্রামের দৌলতপুর-মাধবপুর সড়ক সংলগ্ন খালটি দখল করে তিন ফসলি কৃষি জমি অবৈধ ড্রেজার দিয়ে কেটে খালটি মাটি ভরাটের কাজ করছেন স্থানীয় শেফালি বেগম নামের এক প্রভাবশালী নারী। তবে তাঁর দাবি এটি সরকারি জায়গা নয়, তাঁর নিজস্ব জমি।
তবে স্থানীয় লোকজন বলছে, এটি সরকারি খাল। একসময় প্রবহমানও ছিল। তবে অব্যাহত দখল ও দূষণে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আর দখলদকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ ব্যবস্থা নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ঠরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, কয়েক বছর আগেও এই খাল দিয়ে বড় বড় নৌকা চলত। জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু কয়েক বছর ধরে চাপৈর গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ধীরে ধীরে খালটি দখল করে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। রাতারাতি বাড়ি ও দোকানপাট নির্মাণ করছেন। এই কাজে তাঁদের বাধা দিতেও সাহস পাচ্ছেনা। স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালীরা স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসারদের অর্থের বিনিমনে ম্যানেজ করেই খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন।
অভিযোক্ত দখলদার শেফালি বেগম বলেন, এই জমি আমি ক্রয় সূত্রে মালিক। আমার জমি থেকে মাটি কেটে এই সড়কটি নির্মাণ করা হয়। তাই এই জমিটি খাল মনে হচ্ছে। বর্তমানে যে খালটিতে মাটি ভরাট করছি, সেটি আমার মালিকানাধীন। আর আমাদের জমিতে যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারি।
পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার আমাকে বলছে। আমি গিয়ে কাজটি বন্ধ করে দিচ্ছি।
এ বিষয়য়ে মুরাদনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাসান খাঁন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার সাথে কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ঠিকানা, লোকেশনসহ আমাকে দিন আমি প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।