শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগর
কুমিল্লার মুরাদনগর মোসলেম মিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় সহ-সুপার ও সিনিয়র শিক্ষক ব্যতিরেকে জুনিয়র শিক্ষক আবু বকরের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফলে পরিচালনা পরিষদের একাধিক সদস্য ও অভিভাবকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এহেন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ার মারাত্বক বিঘœ ঘটছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে মাদরাসা স্থাপিত হওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মোসলেম মিয়া সুপারের দায়িত্ব পালন করছিল। তিনি গত ১৫ জানুয়ারি মারা গেলে সুপারের পদটি শূন্য হয়। ২০১১ সালের ৬ জুন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পরিপত্র মোতাবেক এ পদে সহ-সুপার দায়িত্ব পালন করবে। যদি কোন কারণে সহ-সুপার ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে তাহলে তিনি লিখিত ভাবে কারণ উল্লেখ করতে হবে। অন্যথায় একজন সিনিয়র শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করার কথা রয়েছে। কিন্তু সহ-সুপার মোহাম্মদ ইছহাকের অনুমতি ছাড়াই সিনিয়র শিক্ষক বাদ দিয়ে জুনিয়র সহকারী শিক্ষক আবু বকর ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার সর্বমহলে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। এলাকাবাসী বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনাসহ বিধি মোতাবেক অবৈধ ভাবে দায়িত্ব পালনকারী ভারপ্রাপ্ত সুপার আবু বকরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু ভাবে লেখা পড়ার স্বার্থে বিধি মোতাবেক সুপার নিয়োগেরও দাবি জানিয়েছে।
উক্ত বিষয়ে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত সুপার ও মাদারাসার সহকারী শিক্ষক আবু বকর জানান, কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমি দায়িত্ব পালন করছি।
মাদারাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নোমান আহাম্মেদ জানান, আমরা বিধি বুঝি না। কয়েকদিন পরে কমিটির মিটিং আছে। এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম তালুকদার জানান, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। ৭ দিনের মধ্যে বিধি অনুয়ায়ী ভারপ্রাপ্ত সুপার নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।