মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
ষষ্ঠ ধাপের ইউনয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ৩১ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপলক্ষে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে জমে উঠেছে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারনা। প্রচার-প্রচারনার শুরো থেকেই প্রার্থীদের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা লঙ্ঘনেরও গঠনা ঘটছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নতুন করে আরো ১২ জন প্রার্থীকে ৭৪ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
এদের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জন ও সাধারন ও সংরক্ষি সদস্য প্রার্থী ৬ জন রয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলা অভিযানে মুরাদনগর উপজেলা যাত্রাপুর, বাঙ্গরা পশ্চিম, বাঙ্গরা পূব, শ্রীকাইল ও রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রার্থীদের জরিমানা করেন আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও মুরাদনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার সুমাইয়া মমিন।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা প্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, যাত্রাপুর ইউনিয়নের আবুল কালাম আজাদ (নৌকা) ৫ হাজার, বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের বাহার খান (আনারস) ১০ হাজার টাকা, রুহুল আমীন (নৌকা) ১০ হাজার, শ্রীকাইল ইউনিয়নের ইকবাল বাহার (নৌকা) ৫ হাজার, নজরুল ইসলামকে (চশমা) ৫ হাজার ও বাঙ্গরা পূর্ব শেখ জাকির (ঘোড়া) ১০হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
সাধারন সদস্য প্রার্থীরা হলেন, চাপিতলা ইউনিয়নের মো: হাসান (ফুটবল) ৩ হাজার, শ্রীকাইল ইউনিয়নের মতিন মিয়া (মোরগ) ১০ হাজার, রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের আরম (আপেল) ৩ হাজার, ভানু বেগম (হেলিকাপ্টার) ৩ হাজার, বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়নের আবুল খায়ের (ফুটবল) ৫ হাজার, হারুনুর রশিদ (টিউবয়েল) ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও মুরাদনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার সুমাইয়া মমিন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ডাবল মাই, প্রচারনা সময়ের আগে ও পড়ে প্রচারনা চালানো এবং আঠা দিয়ে পোস্টার লাগানোর অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি মালা ২০১৬ এর বিভিন্ন ধারায় এসব জরিমানা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গঃ নির্বাচনি প্রচারনা শুরো হওয়া গত রবিবার-সোমবার (১৬-১৭ জানুয়ারী) পর্যন্ত মোট ২১ জন প্রার্থীকে জরিমানা করা হয়। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলো ৭ জন ও সাধারন সদস্য প্রার্থী ছিলো ১৪ জন। এদের মধ্যে মোট ৭৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।