মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় সরকারের কোনো নিয়মনীতি না মেনে সড়কের প্রায় ১ লক্ষ টাকা মূল্যের ২০টি মেহগনি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত অহিদুল ইসলাম উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
রবিবার (১১ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত গত তিন দিনে উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের আড়ালিয়া-পরমতলা সড়কের উপরে থাকা ২০টি মেহগনি গাছ কাটার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে প্রবাসী কবির মিয়া আড়ালিয়া-পরমতলা সড়কের পশ্চিম পাশে একটি জমি ক্রয় করে। গত বুধবার (৭ জুলাই) প্রবাসী কবির মিয়া ওই জমির পূর্বপাশে সড়কের উপরে থাকা প্রায় ২০ বছরের পুরনো ৩১টি মেহগনি গাছ বিক্রয় করার জন্য ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলামের পরামর্শ চান। এসময় ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম প্রবাসী কবির মিয়া কে আইনের ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে নাম মাত্র ১৩ হাজার টাকা দিয়ে ৩১টি গাছ ক্রয় করেন। পরে ৭০ হাজার টাকায় ভূবনঘর গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী আবুলের কাছে গাছ গুলো বিক্রয় করেন ইউপি সদস্য অহিদ। সেই সুবাদে গত শুক্রবার থেকে শুরু করে রবিবার বিকেল পর্যন্ত ২০টি গাছ কর্তন করে যায় ওই কাঠ ব্যবসায়ী।
গাছকাটা শ্রমিক জসিম মিয়া বলেন, আমরা কিছু জানি না। জমির মালিক কবির মিয়ার নির্দেশে আমরা সরকারি গাছগুলো কাটছি।
এ বিষয়ে কথা বলতে জমির মালিক কবিরের বাড়ীতে গেলে তাকে পাওয়া যায় নি। তার স্ত্রী ও মা জানান, কবির প্রবাস থেকে এসেছে অল্প কিছুদিন। ক্রয়কৃত ওই জমির পাশে থাকা সরকারি গাছগুলো ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম আইনের দোহাই দিয়ে অল্প মূল্যে ক্রয় করেছে। এখন জানাজানি হওয়াতে সে বলছে তার নাম না বলার জন্য। আমরা সাধারণ মানুষ উনি আইনের লোক সরকারি গাছ কাটা যাবেনা বললে তো আর আমরা গাছগুলো বিক্রয় করতাম না।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম মুঠোফুনে সরকারি গাছ বিক্রয়ের কথা অস্বীকার করে বলেন, শুনেছি জমির মালিক কবির এসব গাছ বিক্রয় করেছে। আমি এসব ব্যাপারে কিছুই জানিনা।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিষেক দাশ বলেন, সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে খবর পেয়ে সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেমকে পাঠিয়ে তা বন্ধ করা হয়েছে। গাছ কাটার বিষয়টি সরেজমিনে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।