এন এ মুরাদঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ১২টি কলেজে মানবিক ও ব্যাবসা শিক্ষা বিভাগে অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তি হলেও বিজ্ঞান বিভাগে রয়েছে শিক্ষাথর্ী সংকট। প্রতিটি কলেজে ১৫০ করে বিজ্ঞানের কোটা থাকলেও এর ৯৯ শতাংশই রয়ে যায় অপূরণীয়। মাত্র একটি কলেজ ছাড়া কোথায় পূরণ হয়নি বিজ্ঞানের কোটা।
ফলশ্রুতিতে নাম মাত্রশ্রমে বেতন ভাতা পাচ্ছেন বিজ্ঞানের শিক্ষকরা। বিজ্ঞানে রামচন্দ্রপুর আব্দুল মজিদ কলেজ ছাড়া কোন কলেজেই আসন পূর্ণ হয়নি । এদিকে বরাবরের মত ছাত্র ভর্তির ভরাডুবিতে রয়েছে বাইরা আরিফ স্কুল এন্ড কলেজ। সেখানে বোর্ডের কনফার্মেশন অনুযায়র্ী মোট ভর্তি ৯৫ জন।
সূত্রে জানাযায়, বিজ্ঞান বিভাগে নির্ধারিত ১৫০ আসন পূরণ হয়নি উপজেলার ১২ কলেজের মধ্যে ১১ টির।
কলেজ গুলো হলো- শ্রীকাইল সরকারী কলেজ-৫০ , মুরাদনগর কাজী নোমান আহম্মদ ডিগ্রি কলেজ-১০০ জন, কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম ডিগ্রি কলেজ-৮০জন, বাঁশকাইট ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া কলেজ-১১জন, কুড়ের পাড় ডিগ্রি কলেজ-৮৩ জন,আলীরচর চাঁন মিয়া মোল্লা ডিগ্রি কলেজ, জাহাপুর কমলাকান্তি কলেজ, চাপিতলা ফরিদ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ- ২৬, হায়দ্রবাদ শামসূল হক কলেজ-৩০ জন , দিঘিরপাড় বেগম সুফিয়া কলেজ-১৬ জন, ও বাইড়া স্কুল এন্ড কলেজ-১১ জন। বিজ্ঞানে সবোর্চ্চ ভর্তি রামচন্দ্রপুর আব্দুল মজিদ কলেজ ৩২৪ জন।
এদিকে শ্রীকাইল সরকারী কলেজ, মুরাদনগর নোমান আহম্মদ ডিগ্রি কলেজ, বাঁশকাইট ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া কলেজ, হায়দরাবাদ সামছুল হক কলেজ, চাপিতলা ফরিদ উদ্দীন সরকার ডিগ্রি কলেজসহ কয়েকটি কলেজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে মানবিক বিভাগের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে এনে অতিরিক্ত ছাত্র/ ছাত্রী ভর্তি করেছেন।
উক্ত কলেজ সমূহে ব্যাবসা শিক্ষায় ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের একটা অংশ বিজ্ঞান থেকে এসে শাখা পরিবর্তন করে সহজে পাশ করার জন্য ব্যাবসা শিক্ষাকে বেছে নিয়েছেন।
বিজ্ঞানে ছাত্র ভর্তি কমে যাওয়ার ব্যাপারে চাপিতলা ফরিদ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নার্গিস খানম চৌধুরী বলেন, আমাদের মাধ্যমিক পযার্য়ে অনেক স্কুলে বিজ্ঞানের ভাল শিক্ষক নেই, তাই ছাত্র- ছাত্রীরা কোন রকম এসএসসি শেষ করে এইচএসসিতে এসে আর সাহস করে না বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে। এবছর আমার কলেজে প্রায় ৫০ জন বিজ্ঞানের ছাত্র এসে ব্যাবসা শিক্ষায় ভর্তি হয়েছে।
মুরাদনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল আলম তালুকদার বলেন, বিজ্ঞানের ছাত্র ধরে রাখতে শিক্ষকদের আরো আন্তরিক হতে হবে। তাদের পড়াশোনার ভিতকে মজবুত করে বিজ্ঞানের প্রতি উৎসাহ উদ্দিপনা সৃষ্টি করতে পারলে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা বিভিন্ন সময়ে সভা – সমাবেশের মাধ্যমে শিক্ষদের বলে থাকি তারা যেন বিজ্ঞানের প্রতি ছাত্রদের উদ্বোদ্ধ করে থাকেন।