শামীম আহাম্মদ:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বজার থানাধীন আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিখা রানী রায়ের যোগসাজসে প্রিজাইডিং অফিসার পরিকল্পিত ভাবে ৫জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রার্থীরা বিষয়টির প্রতিকার ও প্রার্থীতা ফিরে পেতে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আপিল করেছেন। শনিবার ১০টায় উক্ত বিষয়ে শুনানী হবার কথা রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের ফরম বাছাইকালে বুধবার বিকেলে বিভিন্ন অজুহাতে ৫জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা কবির আহামেদ। এরমধ্যে প্রার্থী আকলিমা বেগমের মনোনয়ন ফরমে ভোটার নং ১৮৮ এর স্থলে কারসাজি করে ২৮৮, আব্দুল মোমেনের সমর্থনকারী আবুল কাশেমের ভোটার নং ০৮ এর স্থলে কারসাজি করে ৩০৮, মানিক মিয়ার সমর্থনকারী ইসমাইল মিয়ার ভোটার নং ২৯ এর স্থলে কারসাজি করে ১২৯, ইসলাম মিয়ার সমর্থনকারী ছিদ্দিকুর রহমানের ভোটার নং ৬৮ এর স্থলে কারসাজি করে ১৬৮ ও ইয়ার হোসেনের সমর্থনকারী কাইয়ুম মিয়ার ভোটার নং ৯০ এর স্থলে কারসাজি করে ১৯০ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। প্রার্থীরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নিকট ফরম জমা দেওয়ার সময় ভিডিও চিত্র ও ফটোকপি করে রাখেন এবং প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক প্রাপ্তি স্বীকার পত্রেও সবকিছু সঠিক রয়েছে বলে জানায়। এ দিকে ভোটার তালিকা প্রনয়নেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিখা রানী রায়ের বিরুদ্ধে মৃত, প্রবাসী ও ৮০ জন ভোটারের নাম ভুল করার গুরতর অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে এলাকার সর্বমহলে তোলপাড় চলছে।
প্রাথীরা অভিযোগ করে বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মিাধ্যমিক শিক্ষা কুমিল্লা এর প্রজ্ঞাপনের আলোকে ২০০৯ সালের ৩০ জুনের বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত কোন তুচ্ছ কারণে প্রিজাইডিং অফিসার কোন মনোনয়পত্র বাতিল করবেন না, এবং তিনি তুচ্ছ ত্রুটি সংশোধনের জন্য তাৎক্ষনিক ভাবে প্রার্থীকে সুযোগ দিবেন। কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসার সরকারি গেজেটকে অমান্য করে ওই মহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মনোনয়ন ফরমসমূহ বাতিল করে দেয় বলে প্রার্থীদের অভিযোগ। পাশাপাশি প্রিজাইডিং অফিসারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বিষয়টির ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিখা রানী রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমতা আমতা করে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা কবির আহামেদ জানান, প্রধানস শিক্ষকের নিকট জমা দেওয়া ফরমে লিখা ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করেই মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা শিকার করে জানান, উক্ত বিষয়ে শনিবার সকাল ১০টায় শুনানী হবে। যদি ঘটনাটি তুচ্ছ ও ছোট-খাট হয়ে থাকে তাহলে তারা তাদের প্রার্থীতা ফিরে পাবে।