ঢাকা ০৩:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে উপজেলা মিলনায়তনে ‘ আওয়ামীলীগ পুনর্বাসন সভা’ : কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সভা করায় উত্তেজনা

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লার মুরাদনগরে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সরকারি মিলনায়তনে ‘প্রেসক্লাব সভা’ নামে পুনর্বাসনমূলক সভা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এ ঘটনার পর প্রশাসন ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় নেতৃত্ব দেন জুলাই আন্দোলনকালে ছাত্র হত্যার মামলার আসামি ও যাত্রাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দেওয়া হাবিবুর রহমান এবং উপজেলা তাঁতীলীগের আহ্বায়ক আজিজুল হক।

অভিযোগ রয়েছে, তারা একদল নেতাকর্মী নিয়ে জোর করে মিলনায়তনে প্রবেশ করেন এবং প্রেসক্লাবের নামে সভা আহ্বান করেন, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল দলীয় নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন প্রচেষ্টা।

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। স্থানীয়রা এটিকে ‘সরকারি স্থাপনা দখলের ধৃষ্টতা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আবদুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। সেদিন পারিবারিক জরুরী কারণে ব্যস্ত ছিলাম। তারা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সরকারি জায়গা ব্যবহার করেছে, এটি সরকারি সম্পদের অপব্যবহার। আমরা ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্ট হলেও, সভার আয়োজকদের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাজুড়ে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে উপজেলা মিলনায়তনে ‘ আওয়ামীলীগ পুনর্বাসন সভা’ : কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সভা করায় উত্তেজনা

মুরাদনগরে উপজেলা মিলনায়তনে ‘ আওয়ামীলীগ পুনর্বাসন সভা’ : কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সভা করায় উত্তেজনা

আপডেট সময় ০৯:২০:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লার মুরাদনগরে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সরকারি মিলনায়তনে ‘প্রেসক্লাব সভা’ নামে পুনর্বাসনমূলক সভা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এ ঘটনার পর প্রশাসন ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় নেতৃত্ব দেন জুলাই আন্দোলনকালে ছাত্র হত্যার মামলার আসামি ও যাত্রাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দেওয়া হাবিবুর রহমান এবং উপজেলা তাঁতীলীগের আহ্বায়ক আজিজুল হক।

অভিযোগ রয়েছে, তারা একদল নেতাকর্মী নিয়ে জোর করে মিলনায়তনে প্রবেশ করেন এবং প্রেসক্লাবের নামে সভা আহ্বান করেন, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল দলীয় নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন প্রচেষ্টা।

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। স্থানীয়রা এটিকে ‘সরকারি স্থাপনা দখলের ধৃষ্টতা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আবদুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। সেদিন পারিবারিক জরুরী কারণে ব্যস্ত ছিলাম। তারা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সরকারি জায়গা ব্যবহার করেছে, এটি সরকারি সম্পদের অপব্যবহার। আমরা ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্ট হলেও, সভার আয়োজকদের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাজুড়ে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।