ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল আলম করোনায় আক্রান্ত

মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

যে মানুষটি করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে ফ্রন্টলাইনে দাঁড়িয়ে জনসাধারণকে সেবা প্রদানের চেষ্টা করেছেন প্রতিটি মূহুর্ত। করোনায় আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের লকডাউন দিতে ছুটে গিয়েছেন উপজেলার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। প্রতিমুহুর্তে নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন যারা করোনায় আক্রান্ত তাদের পরিবারের লোকজনের খাবার ও ঔষধের। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ খোলা রেখে সাধারণ মানুষকে দেয়ার চেষ্টা করেছেন চিকিৎসাসেবা। প্রতিদিন যার মুখ থেকে সকলেই শুনতে পেত উপজেলায় সর্বশেষ কে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সকলের তথ্য জানানোর সেই লোকটি আজ নিজেই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সিরাজুল ইসলাম মানিক।

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল আলম জানান, গত ৭ জুন রবিবার দুপুরে তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে সেখানেই ৭দিন আইসিইউতে ভর্তি থাকতে হয় তাকে। এরই মাধ্যে দুই বার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হলেও সেখানকার রিপোর্টে তার নেগেটিভ আসে।

পরবর্তীতে সিটিস্ক্যান করা হলে তার শরীরে করোনার সকল প্রকার উপসর্গ উপস্থিত থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বর্তমানে তিনি কিছুটা সুস্থ অনুভব করায় চিকিৎসকদের পরামর্শে নিজ বাসায় অবস্থান করছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে তিনজনকে কুপিয়ে জখম বাড়ি ভাঙচুর

মুরাদনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল আলম করোনায় আক্রান্ত

আপডেট সময় ০৪:০২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুন ২০২০

মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

যে মানুষটি করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে ফ্রন্টলাইনে দাঁড়িয়ে জনসাধারণকে সেবা প্রদানের চেষ্টা করেছেন প্রতিটি মূহুর্ত। করোনায় আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের লকডাউন দিতে ছুটে গিয়েছেন উপজেলার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। প্রতিমুহুর্তে নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন যারা করোনায় আক্রান্ত তাদের পরিবারের লোকজনের খাবার ও ঔষধের। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ খোলা রেখে সাধারণ মানুষকে দেয়ার চেষ্টা করেছেন চিকিৎসাসেবা। প্রতিদিন যার মুখ থেকে সকলেই শুনতে পেত উপজেলায় সর্বশেষ কে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সকলের তথ্য জানানোর সেই লোকটি আজ নিজেই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সিরাজুল ইসলাম মানিক।

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল আলম জানান, গত ৭ জুন রবিবার দুপুরে তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে সেখানেই ৭দিন আইসিইউতে ভর্তি থাকতে হয় তাকে। এরই মাধ্যে দুই বার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হলেও সেখানকার রিপোর্টে তার নেগেটিভ আসে।

পরবর্তীতে সিটিস্ক্যান করা হলে তার শরীরে করোনার সকল প্রকার উপসর্গ উপস্থিত থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বর্তমানে তিনি কিছুটা সুস্থ অনুভব করায় চিকিৎসকদের পরামর্শে নিজ বাসায় অবস্থান করছেন।