ঢাকা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে এইচএসসি ও সমামান পরীক্ষার ফল মহাবিপর্যয়, পাশের হার ২৪.০৫%

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এইচএসসি ও সমামাননা পরীক্ষায় ফলাফল মহাবিপর্যয় হয়েছে। বিগত ৫ বছরের তুলনায় পাশের হার কমেছে।

এ বছর মুরাদনগর উপজেলায় পাশের হার মাত্র ২৪ দশমিক ০৫। যা গত বছরের তুলনায় অনেক কম। সৃজনশীল পদ্ধতি বুজতে না পারার কারন ও নকল প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন প্রদক্ষেপের ফলে পাশের হারে ধস নেমেছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ২২.৬৫% ও মাদ্রাসায় পাশের হার ৩৯.৭৭% ও ভোকেশনালে ৯১.৫৩%। এর মধ্যে এইচএসসি তে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, আলিম ও ভোকেশনালে কোন জিপিএ-৫ নেই।

জানা যায়, ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত ১২টি কলেজে এইচএসসি ও ১২টি মাদ্রাসার আলিম পরক্ষিায় ৪ হাজার ১ শত ৭০ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে এইচএসসিতে ৩ হাজার ৮ শত ১৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ৮ শত ৬৩ জন শিক্ষার্থী পাশ করে। এবং আলিম পরীক্ষায় ৩ শত ৫২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ১ শত ৪০ জন শিক্ষার্থী পাশ করে। অপর দিকে এইচএসসি  (ভোকেশনালে) ২৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ২১ জন শিক্ষার্থী পাশ করে।

এর মধ্যে উপজেলার এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের হার থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে অধ্যাপক আব্দুল মজিদ ডিগ্রী কলেজ। ৬২০ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে ২ শত ২৩২ জন পাশ করে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। যার পাশের হার ৩৭.৪২%। ২য় স্থান অর্জন করে কাজী নোমান আমেদ ডিগ্রী কলেজ। ৪৯১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ১২৮ জন পাশ করে। জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন। যার পাশের হার ২৬.০৭%। ৩য় স্থান অর্জন করে চাঁদ মিয়া মোল্লা ডিগ্রী কলেজ। ১৬৪ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে ৪২ জন পাশ করে। যার পাশের হার ২৫.৪৫%। এবং দাখিল পরীক্ষায় পাশের হার থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে কামাল্লা মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা। ২৪ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে ১৬ জন পাশ করে। যার পাশের হার ৬৬.৬৬%। ২য় স্থান অর্জন করে নবীয়াবাদ আ: ওযাদুত সরকার ফাজির মাদ্রাসা ৪৬ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে ৩০ জন পাশ করে। যার পাশের হার ৬৫.২১%। ৩য় স্থান অর্জন করে শুশুন্ডা ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা। ৩৭ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে ২১ জন পাশ করে। যার পাশের হার ৫৬.৭৫%। ভোকেশনালে বেগম জাহানারা হক ডিগ্রী কলেজ ২৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ২১ জন পাশ করে। যার পাশের হার ৯১.৫৩%।

এদিকে ফলাফল প্রকাশের সাথে সাথে অন্যান্যবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনন্দের বন্যায় শিক্ষার্থীদের ভাসতে দেখা গেলেও এবার তেমন আনন্দ উল্লাস চোখে পড়েনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। সৃজনশীর পদ্ধতি বুজতে না পাড়া এবং সৃজনশীল পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নেই এমন শিক্ষকদের কাছে কোচিং করায় পরীক্ষার্থীদের ফল বিপর্যয় ঘটেছে বলেও অভিভাবকরা।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: সফিউল আলম তালুকদার জানান, সৃজনশীল পদ্ধতি বুজতে না পারার কারন শিক্ষার্থীরা খারাপ ফলাফল করেছে। যার প্রভাব পড়েছে পাশের হারে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের বলেন, পরীক্ষার এমন ফলাফলে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। নকল মুক্ত পরীক্ষা গ্রহন ও শিক্ষকদের থেকে পরীক্ষার্থীরা কোন সহযোগিতা পায়নি। যারা নকল মুক্ত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে সেই পরীক্ষার্থীরাই কৃতকার্য হয়েছে। আমি আশা করব যারা অকৃতকার্য হয়েছে তারা আগামী পরীক্ষায় নকল পরিহার করে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি’র মত বিনিময়

মুরাদনগরে এইচএসসি ও সমামান পরীক্ষার ফল মহাবিপর্যয়, পাশের হার ২৪.০৫%

আপডেট সময় ০৪:১১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০১৭
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এইচএসসি ও সমামাননা পরীক্ষায় ফলাফল মহাবিপর্যয় হয়েছে। বিগত ৫ বছরের তুলনায় পাশের হার কমেছে।

এ বছর মুরাদনগর উপজেলায় পাশের হার মাত্র ২৪ দশমিক ০৫। যা গত বছরের তুলনায় অনেক কম। সৃজনশীল পদ্ধতি বুজতে না পারার কারন ও নকল প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন প্রদক্ষেপের ফলে পাশের হারে ধস নেমেছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ২২.৬৫% ও মাদ্রাসায় পাশের হার ৩৯.৭৭% ও ভোকেশনালে ৯১.৫৩%। এর মধ্যে এইচএসসি তে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, আলিম ও ভোকেশনালে কোন জিপিএ-৫ নেই।

জানা যায়, ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত ১২টি কলেজে এইচএসসি ও ১২টি মাদ্রাসার আলিম পরক্ষিায় ৪ হাজার ১ শত ৭০ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে। এর মধ্যে এইচএসসিতে ৩ হাজার ৮ শত ১৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ৮ শত ৬৩ জন শিক্ষার্থী পাশ করে। এবং আলিম পরীক্ষায় ৩ শত ৫২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ১ শত ৪০ জন শিক্ষার্থী পাশ করে। অপর দিকে এইচএসসি  (ভোকেশনালে) ২৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ২১ জন শিক্ষার্থী পাশ করে।

এর মধ্যে উপজেলার এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের হার থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে অধ্যাপক আব্দুল মজিদ ডিগ্রী কলেজ। ৬২০ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে ২ শত ২৩২ জন পাশ করে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। যার পাশের হার ৩৭.৪২%। ২য় স্থান অর্জন করে কাজী নোমান আমেদ ডিগ্রী কলেজ। ৪৯১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ১২৮ জন পাশ করে। জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন। যার পাশের হার ২৬.০৭%। ৩য় স্থান অর্জন করে চাঁদ মিয়া মোল্লা ডিগ্রী কলেজ। ১৬৪ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে ৪২ জন পাশ করে। যার পাশের হার ২৫.৪৫%। এবং দাখিল পরীক্ষায় পাশের হার থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে কামাল্লা মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা। ২৪ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে ১৬ জন পাশ করে। যার পাশের হার ৬৬.৬৬%। ২য় স্থান অর্জন করে নবীয়াবাদ আ: ওযাদুত সরকার ফাজির মাদ্রাসা ৪৬ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে ৩০ জন পাশ করে। যার পাশের হার ৬৫.২১%। ৩য় স্থান অর্জন করে শুশুন্ডা ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা। ৩৭ জন পরীক্ষাথী অংশগ্রহন করে ২১ জন পাশ করে। যার পাশের হার ৫৬.৭৫%। ভোকেশনালে বেগম জাহানারা হক ডিগ্রী কলেজ ২৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ২১ জন পাশ করে। যার পাশের হার ৯১.৫৩%।

এদিকে ফলাফল প্রকাশের সাথে সাথে অন্যান্যবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনন্দের বন্যায় শিক্ষার্থীদের ভাসতে দেখা গেলেও এবার তেমন আনন্দ উল্লাস চোখে পড়েনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। সৃজনশীর পদ্ধতি বুজতে না পাড়া এবং সৃজনশীল পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নেই এমন শিক্ষকদের কাছে কোচিং করায় পরীক্ষার্থীদের ফল বিপর্যয় ঘটেছে বলেও অভিভাবকরা।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: সফিউল আলম তালুকদার জানান, সৃজনশীল পদ্ধতি বুজতে না পারার কারন শিক্ষার্থীরা খারাপ ফলাফল করেছে। যার প্রভাব পড়েছে পাশের হারে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের বলেন, পরীক্ষার এমন ফলাফলে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। নকল মুক্ত পরীক্ষা গ্রহন ও শিক্ষকদের থেকে পরীক্ষার্থীরা কোন সহযোগিতা পায়নি। যারা নকল মুক্ত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে সেই পরীক্ষার্থীরাই কৃতকার্য হয়েছে। আমি আশা করব যারা অকৃতকার্য হয়েছে তারা আগামী পরীক্ষায় নকল পরিহার করে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হবে।