বেলাল উদ্দিন আহম্মদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের বড়ইয়াকুড়ি গ্রামের ঐতিহ্যবাহী সৈয়দ পরিবারের প্রায় শত বৎসরের পুরানো পারিবারিক কবরস্থানটি এক মহলের লোভের কারনে ও আদালতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে ও আসামী পক্ষের নোটিশ কৌশল করে গোপন রেখে নিজেদের পক্ষে আদালতের রায় নিয়ে ওই কবরস্থানটি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টায় আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান করে কবরস্থানের প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে।
সোমবার এ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বদেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও প্রথম শ্রেনির নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাশিদা আক্তার।
স্থানিয় সুত্রে জানাযায়, মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের বড়ইয়াকুড়ি গ্রামের সৈয়দ পরিবারের পারিবারিক কবরস্থাটিতে আদালতের নির্দেশে এক উচ্ছেদ অভিযান করে কবরস্থানের প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে। একই গ্রামের হানিফ মিয়া এ মামলার বাদী। বিবাদী পক্ষের বাংলাদেশ গার্মেন্টস মেনুফেকচার এসোসিয়েশনের পরিচালক সৈয়দ সাদেক আহাম্মদ ওবিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ শরীফ আহাম্মদের দাবী হানিফের জন্মের অনেক বছর পূর্বে তার পূর্বপুরুষ আশ্রাফ আলীর নিকট হতে সৈয়দ আবদুল জব্বার ও সৈয়দ একামত আলী ক্রয় সুত্রে এ জমির মালিক। এর পর হতে এ ভূমিটিকে পারিবারিক কবরস্থান হিসাবে ব্যবহার করে আসছি। সি এস, আর এস ও বি এস খতিয়ান ও আমাদের নামে। এ কবর স্থানে নারী পুরুষ ও শিশু সহ প্রায় অর্ধশত জনের কবর রয়েছে। বাদী হানিফ প্রকৃত সত্য গোপন করে ও আদালতের নোটিশ গোপন রাখার কারনে আদালত একতরফা রায় প্রদান করে।আমরা ঘটনার স্বীকার। অচিরেই আমরা উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ চাইব।
স্থানিয় লোকজন জানান সৈয়দ পরিবারের পারিবারিকএ কবরস্থানে বিশিষ্ট জনদের মধ্যে কবরস্থ করা হয়েছে সৈয়দ আবদুল জব্বার,সৈয়দ তাহের আহাম্মদ, সৈয়দ কবির আহাম্মদ, সৈয়দ সামছুল হুদা,ডা: সৈয়দ সামছুল আলম, সৈয়দ এ কে এম সিদ্দিক, সৈয়দ মনিরুল ইসলাম, সৈয়দ গুলজার হোসেন, সৈয়দা আমিরুন নেছা, সৈয়দ আলী আজগর, সৈয়দ মোহাম্মদ ইউনুছ, সৈয়দ হারুনুর রশিদ ও নারী –শিশু সহ অর্ধশতাধিক লোকের কবর রয়েছে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও প্রথম শ্রেণির নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাশিদা আক্তার জানান আদালতের নির্দেশে গত সোমবারের ওই উচ্ছেদ অভিযানে উচ্ছেদ পরিচালনা করি।