ঢাকা ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ঘেষে ময়লার স্তূপ, মানুষের দুর্ভোগ

সুমন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজানে বাস টার্মিনাল সংলগ্ন কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ঘেঁষে স্থানীয়রা প্রতিদিনই ফেলছেন ময়লা-আবর্জনা। এতে পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীদের উৎকট দুর্গন্ধ সহ্য করে ওই এলাকা পার হতে হয়। দিন যতই যাচ্ছে ততই বড় হচ্ছে ময়লার স্তুপ। পাশাপাশি পচা বর্জ্যে মশার উপদ্রবও দেখা দিয়েছে। তাছাড়া ওই সকল পচা-দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষিত হওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে রোগ-ব্যাধির। এতে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিশেষ করে এ কোম্পানীগঞ্জ বাজারেই রয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনাকালে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের পরে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্টান খুলবে তখন শিক্ষার্থীরাও পরবে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের অংশে দিনের পর দিন এমন বিশ্রী ও বেহাল পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্টরা এসব বর্জ্য অপসারণে কোনো ভূমিকাই রাখছে না।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন এ মহাসড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাজারো যানবাহন চলাচল করে থাকে। সিলেটের কাউকে চট্টগ্রামে ঢুকতে হলে এ মহাসড়ক দিয়েই ঢুকতে হয়। অথচ সড়কের কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর অংশে এমন আবর্জনার ভাগাড় উপজেলার সৌন্দর্য সম্পর্কে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দাদের নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা ছাড়াও মহাসড়কটি দিয়ে শিক্ষার্থী, দিনমজুর, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এতে প্রতিদিনই তাঁদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশ দিয়ে নাক চেপে যাচ্ছিলেন চল্লিশোর্ধ্ব গৃহিণী হাবিবা আক্তার। তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাসা এই এলাকাতেই। প্রতিদিনই দুর্গন্ধ সহ্য করে পথ চলতে হয়। বছরের পর বছর ধরে এমন অবস্থা চললেও এসব আবর্জনা অপসারণে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।’ আমজাদ হোসেন নামের আরেক পথচারী জানান, গুরুত্বপূর্ণ একটি মহাসড়কের পাশে ও বাস টার্মিনাল এলাকায় আবর্জনা ফেলে এমন নোংরা একটি অবস্থা তৈরি করা হয়েছে, এটি কোনোভাবেই সহনীয় নয়। বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য এখানে ফেলা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। প্রতিদিন ময়লার স্তুপ পেরিয়ে আশপাশের অন্তত কয়েক হাজার বাসিন্দাকে এ সড়ক মাড়াতে হয়। দুর্গন্ধের কারণে নাকে-মুখে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলে এসব বর্জ্য মূল সড়কেও অনেক সময় গড়িয়ে চলে আসে। পুরো সড়কটিই যেন এখন আবর্জনার ভাগাড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে ময়লা ফেলায় এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ বলেন, বাজার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে কথা বলে এ ব্যপারে পদক্ষেপ নিওয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

মুরাদনগরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ঘেষে ময়লার স্তূপ, মানুষের দুর্ভোগ

আপডেট সময় ১০:৩১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১

সুমন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজানে বাস টার্মিনাল সংলগ্ন কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ঘেঁষে স্থানীয়রা প্রতিদিনই ফেলছেন ময়লা-আবর্জনা। এতে পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীদের উৎকট দুর্গন্ধ সহ্য করে ওই এলাকা পার হতে হয়। দিন যতই যাচ্ছে ততই বড় হচ্ছে ময়লার স্তুপ। পাশাপাশি পচা বর্জ্যে মশার উপদ্রবও দেখা দিয়েছে। তাছাড়া ওই সকল পচা-দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষিত হওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে রোগ-ব্যাধির। এতে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিশেষ করে এ কোম্পানীগঞ্জ বাজারেই রয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনাকালে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের পরে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্টান খুলবে তখন শিক্ষার্থীরাও পরবে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের অংশে দিনের পর দিন এমন বিশ্রী ও বেহাল পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্টরা এসব বর্জ্য অপসারণে কোনো ভূমিকাই রাখছে না।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন এ মহাসড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাজারো যানবাহন চলাচল করে থাকে। সিলেটের কাউকে চট্টগ্রামে ঢুকতে হলে এ মহাসড়ক দিয়েই ঢুকতে হয়। অথচ সড়কের কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর অংশে এমন আবর্জনার ভাগাড় উপজেলার সৌন্দর্য সম্পর্কে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দাদের নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা ছাড়াও মহাসড়কটি দিয়ে শিক্ষার্থী, দিনমজুর, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এতে প্রতিদিনই তাঁদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশ দিয়ে নাক চেপে যাচ্ছিলেন চল্লিশোর্ধ্ব গৃহিণী হাবিবা আক্তার। তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাসা এই এলাকাতেই। প্রতিদিনই দুর্গন্ধ সহ্য করে পথ চলতে হয়। বছরের পর বছর ধরে এমন অবস্থা চললেও এসব আবর্জনা অপসারণে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।’ আমজাদ হোসেন নামের আরেক পথচারী জানান, গুরুত্বপূর্ণ একটি মহাসড়কের পাশে ও বাস টার্মিনাল এলাকায় আবর্জনা ফেলে এমন নোংরা একটি অবস্থা তৈরি করা হয়েছে, এটি কোনোভাবেই সহনীয় নয়। বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য এখানে ফেলা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। প্রতিদিন ময়লার স্তুপ পেরিয়ে আশপাশের অন্তত কয়েক হাজার বাসিন্দাকে এ সড়ক মাড়াতে হয়। দুর্গন্ধের কারণে নাকে-মুখে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলে এসব বর্জ্য মূল সড়কেও অনেক সময় গড়িয়ে চলে আসে। পুরো সড়কটিই যেন এখন আবর্জনার ভাগাড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে ময়লা ফেলায় এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ বলেন, বাজার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে কথা বলে এ ব্যপারে পদক্ষেপ নিওয়া হবে।