ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে খালের উপর পাকা বাড়ী!

মো. নাজিম উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি

কুমিল্লার মুরাদনগর খাস খতিয়ানের অর্ন্তভুক্ত সরকারি খাল ভরাট করে পাকা বসতবাড়ী ও দোকান নির্মাণসহ ড্রেজারের মাধ্যমে ভরাট করে দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালী চক্র।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল এলাকার হাজী মুকসত আলী গাউছিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি ঘোড়াশাল খেলার মাঠ থেকে শুরু হয়ে কয়েক কিলোমিটার আয়তনের প্রাচীন এই খালটির মুরাদনগর-হোমনা সড়ক থেকে ঘোড়াশাল খেলার মাঠ পর্যন্ত অংশটি এখন প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

সদর ইউনিয়নে উপজেলা ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি থাকলেও কর্মকর্তাদের তদারকি না থাকায় দিন দিন অস্তিত্ব হারাচ্ছে খালটি। দখলদার শামসু মোল্লা, খালেক মোল্লা ও বাবুল মিয়া গংদের হাত থেকে খালটি উদ্ধার করতে দৃশ্যমান পদক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শতবর্ষী এই খাল দিয়ে আগে নৌকা চলাচল করলেও কালের বিবর্তনে নৌকার প্রচলন চলে যাওয়ায় খালটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার পয়নিষ্কাশনের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। বর্তমানে খালের বিভিন্ন অংশে পাকা স্থাপনা তৈরী করে দখল ও ড্রেজার দিয়ে ভরাট হওয়ায় এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে প্রাচীন এই খালটি। দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী মুখ খুলতে রাজি নয়। দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় খালটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে।

মুরাদনগর সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) খায়রুল আমান আরিফ খাল দখলের কথা স্বীকার করে বলেন কতটুকু দখল হয়েছে সেটা সার্ভেয়ারের মাধ্যমে পরিমাপ করার জন্য রিপোর্ট প্রদান করেছি।

এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, দখলদারদের কবল থেকে এই খালটি পুনরুদ্ধার করার জন্য আইনানুগ কার্যক্রম শুরু করা হবে। পর্যায়ক্রমে মুরাদনগরের বেদখল হওয়া সকল খাল উদ্ধার করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাহী আদেশে সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ এর মামলা প্রত্যাহারে দাবি  হেফাজতে ইসলামের

মুরাদনগরে খালের উপর পাকা বাড়ী!

আপডেট সময় ০১:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মো. নাজিম উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি

কুমিল্লার মুরাদনগর খাস খতিয়ানের অর্ন্তভুক্ত সরকারি খাল ভরাট করে পাকা বসতবাড়ী ও দোকান নির্মাণসহ ড্রেজারের মাধ্যমে ভরাট করে দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালী চক্র।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল এলাকার হাজী মুকসত আলী গাউছিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি ঘোড়াশাল খেলার মাঠ থেকে শুরু হয়ে কয়েক কিলোমিটার আয়তনের প্রাচীন এই খালটির মুরাদনগর-হোমনা সড়ক থেকে ঘোড়াশাল খেলার মাঠ পর্যন্ত অংশটি এখন প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

সদর ইউনিয়নে উপজেলা ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি থাকলেও কর্মকর্তাদের তদারকি না থাকায় দিন দিন অস্তিত্ব হারাচ্ছে খালটি। দখলদার শামসু মোল্লা, খালেক মোল্লা ও বাবুল মিয়া গংদের হাত থেকে খালটি উদ্ধার করতে দৃশ্যমান পদক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শতবর্ষী এই খাল দিয়ে আগে নৌকা চলাচল করলেও কালের বিবর্তনে নৌকার প্রচলন চলে যাওয়ায় খালটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার পয়নিষ্কাশনের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। বর্তমানে খালের বিভিন্ন অংশে পাকা স্থাপনা তৈরী করে দখল ও ড্রেজার দিয়ে ভরাট হওয়ায় এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে প্রাচীন এই খালটি। দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী মুখ খুলতে রাজি নয়। দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় খালটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে।

মুরাদনগর সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) খায়রুল আমান আরিফ খাল দখলের কথা স্বীকার করে বলেন কতটুকু দখল হয়েছে সেটা সার্ভেয়ারের মাধ্যমে পরিমাপ করার জন্য রিপোর্ট প্রদান করেছি।

এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, দখলদারদের কবল থেকে এই খালটি পুনরুদ্ধার করার জন্য আইনানুগ কার্যক্রম শুরু করা হবে। পর্যায়ক্রমে মুরাদনগরের বেদখল হওয়া সকল খাল উদ্ধার করা হবে।