নিহত ওহেদ মিয়া ওই গ্রামের বাসিন্দা।স্থানীয়রা জানায়, দেড় বছর আগে ওই বৃদ্ধার বউ মারা যায়।
গত কয়েক মাস ধরে পরিবারের লোকজন তার তেমন সেবা যত্ন করছে না। ফলে তিনি আবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর থেকে ছেলে ও ছেলেও বউয়ের সঙ্গে তার আরো দূরত্ব তৈরি হয়। এর মধ্যে গত রবিবার তাদের ঝগড়াও হয়।
এলাকাবাসী বলছে, ওহেদ মিয়া মাথা ঘুরিয়ে বা স্টোক করে মারা গেলে, তার লাশ খালের পাশে থাকতো। কিন্তু মাঝখানে লাশ পাওয়ায় মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।ওহেদ মিয়ার ছেলে আওয়াল মিয়া বলেন, আমার বাবা প্রতিদিনের মতো রাতে তারাবি নামাজ পড়তে ঘর থেকে বের হয়। অনেক রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজির পর ব্যর্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসি।
সকালে লোক মাধ্যমে খবর পাই খালের মাঝখানে ওপর হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।রগুরামপুর গ্রামের ইউপি সদস্য ফারুক সরকার বলেন, ওহেদ মিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে তার মরদেহ খালে পড়ে থাকতে দেখে মুরাদনগর থানা পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।মুরাদনগর থানার উপপরিদশর্ক (এসআই) মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘খবর পেয়ে ওহেদ মিয়ার লাশ সকালে যাত্রাপুর ইউনিয়নের রগুরামপুর গ্রামের পশ্চিম বিলের খালের মাঝখান থেকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
মুরাদনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।’