ঢাকা ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে খাল দখল পাকা বাড়ি ও কালভার্ট নির্মানের অভিযোগ

সুমন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগরে সরকারি খাল দখল করে পাকা বাড়ি ও কালভার্ট নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন ভ‚মি অফিস বিষয়টি অবহিত থাকলেও রহস্যজনক কারনে কোন প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়দের মাধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার নবিপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নবিপুর শ্রীকাইল সড়কের পাশে নবিপুর দক্ষিনপাড়া এলাকায় খাল দখল করে পাকা দোকানঘর,বাড়ি ও কালভার্ট নির্মান করছেন স্থানীয় নবিপুর গ্রামের কারী আব্দুল মালেকের ছেলে আক্তার হোসেন, মৃত. ফজলুল হকের ছেলে আলী আশরাফ, মৃত. আব্দুল মতিন এর ছেলে শাহ আলম, মৃত. মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে শিরো মিয়া, মৃত. মৌলভী বাচ্চু মিয়ার ছেলে বাকিস। এদের মধ্যে খালের অংশ দখল করে বাড়ি নির্মান করেছেন আলী আশরাফ।

তবে আলী আশরাফের দাবি এটি সরকারি খাল নয়, তাঁর নিজস্ব জমি। তবে স্থানীয় লোকজন বলছে, এটি সরকারি খাল। একসময় প্রবাহমানও ছিল। তবে অব্যাহত দখল ও দূষণে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় জানান, এক যুগ আগেও এ খাল দিয়ে নৌকা চলতো। অনেক জেলে এ খাল থেকে মাছ ধরে জীবিকা নিবার্হ করত। এখন আর দেখে বুঝার উপায় নেই এখান দিয়ে খাল প্রবাহিত হয়েছিল। বর্তমানে দখলদাররা রাতারাতি পাকা ভবন, কালভার্ট, দোকানঘর নিমার্ণ করে খালের অংশ দখল করে রেখেছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে দখলদারা প্রভাবশালী স্থানীয় নেতা ও ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসের লোকজনদের বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করেই খাল দখল করে স্থাপনা নির্মান করা হয়।

দখলদার আলী আশরাফ বলেন, আমার বাড়ীর পরিমাপ করার পর আমার পুরো সম্পত্তি বুঝে পাচ্ছিলাম না। তাই খালের অংশে এসে বাড়ি নির্মান করেছি। তাছাড়া আমরা বিবেকবান মানুষ বলেই পনি চলাচলের ব্যবস্থা রেখেছি। এখানে কোনো সরকারি জায়গা নেই। তাছাড়া বাড়ি নির্মান করার সময়ে ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসে যোগাযোগ করে বাড়ি নির্মান করেছি।

দখলদার আক্তার হোসেন বলেন, আমি বাড়িতে যাওয়ার জন্য কালভার্ট নির্মান করেছি। এখানে সরকারি জায়গার পাশাপাশি আমাদেও মালিকানা জায়গায় ও আছে। সরকারি খালের অংশে যদি আমাদের কোনো স্থাপনা থেকে থাকে তাহলে সরকার চাইলে দিয়ে দেব।
নবিপুর পশ্চিম ইউনিয়ন ভ‚মি উপ-সহকারী কর্মকতা শফিকুল ইসলাম বলেন, খাল দখলের বিষয়টি আমি জানার পর আমি সরজমিনে গিয়ে জায়গাটি পরিদর্শন করেছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হুদা বলেন, সরকারি খাল দখল করার কোন সুযোগ নেই। আমাদের সরকারি সার্ভেয়ার ও দখল কারিদের পক্ষ থেকে একজন সার্ভেয়ার নিয়ে অচিরেই খালের সীমানা নির্ধারণ করা হবে। সরকারি খাল দখল করে থাকলে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

মুরাদনগরে খাল দখল পাকা বাড়ি ও কালভার্ট নির্মানের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৫:৪৯:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

সুমন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগরে সরকারি খাল দখল করে পাকা বাড়ি ও কালভার্ট নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন ভ‚মি অফিস বিষয়টি অবহিত থাকলেও রহস্যজনক কারনে কোন প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়দের মাধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার নবিপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নবিপুর শ্রীকাইল সড়কের পাশে নবিপুর দক্ষিনপাড়া এলাকায় খাল দখল করে পাকা দোকানঘর,বাড়ি ও কালভার্ট নির্মান করছেন স্থানীয় নবিপুর গ্রামের কারী আব্দুল মালেকের ছেলে আক্তার হোসেন, মৃত. ফজলুল হকের ছেলে আলী আশরাফ, মৃত. আব্দুল মতিন এর ছেলে শাহ আলম, মৃত. মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে শিরো মিয়া, মৃত. মৌলভী বাচ্চু মিয়ার ছেলে বাকিস। এদের মধ্যে খালের অংশ দখল করে বাড়ি নির্মান করেছেন আলী আশরাফ।

তবে আলী আশরাফের দাবি এটি সরকারি খাল নয়, তাঁর নিজস্ব জমি। তবে স্থানীয় লোকজন বলছে, এটি সরকারি খাল। একসময় প্রবাহমানও ছিল। তবে অব্যাহত দখল ও দূষণে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় জানান, এক যুগ আগেও এ খাল দিয়ে নৌকা চলতো। অনেক জেলে এ খাল থেকে মাছ ধরে জীবিকা নিবার্হ করত। এখন আর দেখে বুঝার উপায় নেই এখান দিয়ে খাল প্রবাহিত হয়েছিল। বর্তমানে দখলদাররা রাতারাতি পাকা ভবন, কালভার্ট, দোকানঘর নিমার্ণ করে খালের অংশ দখল করে রেখেছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে দখলদারা প্রভাবশালী স্থানীয় নেতা ও ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসের লোকজনদের বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করেই খাল দখল করে স্থাপনা নির্মান করা হয়।

দখলদার আলী আশরাফ বলেন, আমার বাড়ীর পরিমাপ করার পর আমার পুরো সম্পত্তি বুঝে পাচ্ছিলাম না। তাই খালের অংশে এসে বাড়ি নির্মান করেছি। তাছাড়া আমরা বিবেকবান মানুষ বলেই পনি চলাচলের ব্যবস্থা রেখেছি। এখানে কোনো সরকারি জায়গা নেই। তাছাড়া বাড়ি নির্মান করার সময়ে ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসে যোগাযোগ করে বাড়ি নির্মান করেছি।

দখলদার আক্তার হোসেন বলেন, আমি বাড়িতে যাওয়ার জন্য কালভার্ট নির্মান করেছি। এখানে সরকারি জায়গার পাশাপাশি আমাদেও মালিকানা জায়গায় ও আছে। সরকারি খালের অংশে যদি আমাদের কোনো স্থাপনা থেকে থাকে তাহলে সরকার চাইলে দিয়ে দেব।
নবিপুর পশ্চিম ইউনিয়ন ভ‚মি উপ-সহকারী কর্মকতা শফিকুল ইসলাম বলেন, খাল দখলের বিষয়টি আমি জানার পর আমি সরজমিনে গিয়ে জায়গাটি পরিদর্শন করেছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হুদা বলেন, সরকারি খাল দখল করার কোন সুযোগ নেই। আমাদের সরকারি সার্ভেয়ার ও দখল কারিদের পক্ষ থেকে একজন সার্ভেয়ার নিয়ে অচিরেই খালের সীমানা নির্ধারণ করা হবে। সরকারি খাল দখল করে থাকলে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।