মাহবুবুর রহমান আরিফঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে খাল ভরাট করার কারণে প্রায় ২০০ পরিবার এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়েছে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গত দুই দিনের ভারি বৃষ্টির কারণে পুরো এলাকায় এখন পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। এই এলাকার প্রধান পানি নিষ্কাশনের খালটি মুরাদনগর-হোমনা সড়কের পাশে অবস্থিত। আর সেই কারণে ক্ষমতাসীন কিছু লোকেরা নিচে ছোট ছোট পাইপ দিয়ে অবৈধভাবে মাটি ভরাট করে যার যার দখলে নিয়েছে। তাই ঠিকমতো পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না বলে জানা গেছে।
মুরাদনগর কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সাদেকুল ইসলাম বলেন, ক্ষমতাসীন লোকেরা খাল ভরাট করার করণে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানির নিচে চলে যায় মাষ্টারপাড়া পুড়ো এলাকা। এ বিষয়ে প্রথম থেকেই প্রশাসনকে জানানো হলেও সমস্যা সমাধানে কোনও প্রকার ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি। পানিবন্দি হওয়ার কারণে বাসা থেকে বের হতে নানা সমস্যার সম্মুক্ষীণ হতে হচ্ছে।
মুরাদনগর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ খলিলুর রহমান জানান, আমার বাসা মাষ্টার পাড়ায়। এখানে সামান্য বৃষ্টি হলেই আমরা পানিবন্দি হয়ে যাই। বৃষ্টির পানি ড্রেনের পানির সাথে মিশে গিয়ে পুড়ো এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে যায়। আমরা প্রশাসনকে বহুবার জানালেও সমস্যার কোনও প্রতিকার হয়নি।
স্থানীয় শাহজাহান মিয়া বলেন, আমরা উপজেলা সদরের কাছে থেকেও পানিবন্দি হয়ে থাকতে হয়। ক্ষমতাসীন লোকেরা খাল ভরাট করবে তাদের সুবিধার জন্য আর কষ্ট পাব আমরা নিরিহ জনগণ। প্রশাসনের নিকট আমার আকুল আবেদন। এই পানিবন্দি জীবন থেকে আমাদেরকে মুক্ত করুণ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিতু মরিয়ম জানান, এই এলাকার পানি নিষ্কাশনের সমস্যাটি কোনও নতুন সমস্যা না। অনেক আগে থেকেই খালটি ছোট ছোট পাইপ দিয়ে ভরাট করে যার যার বাড়ির সামনের অংশ দখল করে নিয়েছে। গত দুই দিনের ভারি বৃষ্টির কারণে পানি নিষ্কাশন হতে দেরি হচ্ছে বলে সমস্যাটি আরো বড় আকার ধারণ করেছে। আমি দেখছি এই এলাকার পানি নিষ্কাশনের বিষয়টি
কিভাবে দির্ঘস্থায়ী সমাধান করা যায়।