হাফেজ নজরুল ইসলামঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে! তবে পরিবারের দাবি শশুর বাড়ীর লোকজন হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের শাহেদাগোপ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শাহেদাগোপ গ্রামের মৃত ছোট মিয়ার সৌদী প্রবাসী ছেলে মাসুদ গত দুই বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের বড়িয়াচরা গ্রামের মৃত জহর আলীর মেয়ে রুনা আক্তারের(২২) সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কিছুদিন পর মাসুদ সৌদি আরবে চলে যায়। এরপর থেকে মাসুদ স্ত্রী রুনার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ রাখেনি! এবং শশুর বাড়ীর লোক জন ছেটখাট বিষয় নিয়ে রুনাকে মারদরসহ বিভিন্ন ভাবে নির্যাত চালাত।
ভিকটিমের শাশুড়ী জাহেনারা বেগম জানান, আমার ছেলের বউয়ের সাথে কোন ঝগরা হয়নি। রাতে এশার ও তারাবি নামাজ পড়েছে। রাতে সেহরি খেয়ে নামাজ পড়ে ঘুমিয়েছিল। সকালে যখন রুবি ঘম থেকে উঠছেনা? তখন ঘড়ে গিয়ে দেখি ঘরের তীরের সাথে ফাঁসি দিয়ে ঝুলে আছে। তবে কি কারনে ফাঁসি দিয়েছে আমি জানিনা।
গৃহবধু রুবির চাচা জজ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, শশুর ভাড়ির লোকজন আমার ভাতিজিকে মেরে ঝুলিয়ে রাখেছে। শাশুড়ির নির্যাতনে সে মারা গেছে আমি এদের বিচার চাই। ভোর ৪টার সময় সে তার ভগ্নিপতির সাথেও কথা হয়েছে, তখনতো কোন কিছু সে বলেনি। সকাল ৭ টায় আমাদের ফোন করে শশুর বাড় থেকে জানায় রুনা পানিত পরে মারা গেছে। তিনি আরো বলেন, অঅমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
পরে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ খবর পেয়ে এস আই মনমোহন রায়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতা (কুমেকে)’র মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
এ ব্যপারে বাঙ্গরা বাজার থানার এস আই মনমোহন রায় বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাচ্ছি, পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করলে ও ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।