ঢাকা ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের ভুতাইল গ্রামে নাজমিন বেগম নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাজমিন বেগম(৪২) ভুতাইল গ্রামের মৃত সাইফুদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমানের প্রথম স্ত্রী ও বি-বাড়ীয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের এরশাদ ভূইয়ার মেয়ে। ঘটনার পর থেকে স্বামী স্বজনরা পলাতক রয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২০ বছর পূর্বে হাবিবুর রহমানের সাথে নাজমিন বেগমের বিয়ে হয়। তার সন্তান না হওয়ায় গত ৪ মাস পূর্বে হাবিবুর রহমান পাখি আক্তার নামের অপর একজনকে বিয়ে করার পর থেকে পরিবারে নানা কলহ বিবেদ দেখা দেয়। নাজমিনের ভাই বাতেন মিয়া জানান, দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে হাবিবুর রহমান তার বোনের উপর নির্যাতন শুরু করে। গত ১৪ জানুয়ারী বিকেলে নাজমিন মারা গেছে বলে খবর দেয়া হয়। আমরা এসে দেখি লাশ ফেলে বাড়ীর লোকজন সবাই পালিয়ে গেছে। বাতেন মিয়া আরো জানায়, মৃত্যুর আগের দিন বোন আমাকে ফোন করে বলেছিল ‘ভাই আমাকে এসে নিয়ে যাও পাষন্ডরা আমাকে জানে মেরে ফেলবে’। আমার বোনকে তারা বাঁচতে দিল না বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। খবর পেয়ে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রোববার দুপুরে কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মোয়াজ্জেম জানান, এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি তাই মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার পক্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের লিফলেট বিতরণ

মুরাদনগরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

আপডেট সময় ০২:১৪:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০১৭
মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের ভুতাইল গ্রামে নাজমিন বেগম নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাজমিন বেগম(৪২) ভুতাইল গ্রামের মৃত সাইফুদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমানের প্রথম স্ত্রী ও বি-বাড়ীয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের এরশাদ ভূইয়ার মেয়ে। ঘটনার পর থেকে স্বামী স্বজনরা পলাতক রয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২০ বছর পূর্বে হাবিবুর রহমানের সাথে নাজমিন বেগমের বিয়ে হয়। তার সন্তান না হওয়ায় গত ৪ মাস পূর্বে হাবিবুর রহমান পাখি আক্তার নামের অপর একজনকে বিয়ে করার পর থেকে পরিবারে নানা কলহ বিবেদ দেখা দেয়। নাজমিনের ভাই বাতেন মিয়া জানান, দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে হাবিবুর রহমান তার বোনের উপর নির্যাতন শুরু করে। গত ১৪ জানুয়ারী বিকেলে নাজমিন মারা গেছে বলে খবর দেয়া হয়। আমরা এসে দেখি লাশ ফেলে বাড়ীর লোকজন সবাই পালিয়ে গেছে। বাতেন মিয়া আরো জানায়, মৃত্যুর আগের দিন বোন আমাকে ফোন করে বলেছিল ‘ভাই আমাকে এসে নিয়ে যাও পাষন্ডরা আমাকে জানে মেরে ফেলবে’। আমার বোনকে তারা বাঁচতে দিল না বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। খবর পেয়ে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রোববার দুপুরে কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মোয়াজ্জেম জানান, এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি তাই মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।