ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

মোঃ মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে ফাঁস লাগানো অবস্থায় লক্ষী রানী দেবনাথ (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করে অত্মহত্যা বলে চালানো হচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযোক্ত পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সদরের নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নিমাইকান্দি এলাকার এক ভাড়া বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে মুরাদনগর থানা পুলিশ।

মৃত্যু লক্ষী রানী দেবনাথ (৩৫) উপজেলা সদর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের নারায়ন দেবনাথের স্ত্রী ও যাত্রাপুর গ্রামের হরিপদ চন্দ্র দেবনাথের মেয়ে।

মেয়ে বর্ষা রানী দেবনাথ (১৪) অভিযোগ করে বলেন, আমাদের পরিবারের সাথে উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নোয়াকান্দি গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে সুলতান মিয়ার (২৮) সুসর্ম্পক ছিল। সুলতানের সাথে আমাদের টাকার লেনদেনর ছিলো। ওই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে কিছু দিন থেকে বিরোধ চলছিলো। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সুলতান আমাদের বাড়িতে আসে এবং মায়ের সাথে কথা বলছিল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতা-হাতি হয়। তা দেখে আমার ছোট ভাই (৪) চিৎকার করলে সুলতান ছোট ভাইকে গালে থাপ্পর দেয় এবং ঘর থেকে বাহির করে দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। কিছুখন পর আমার বিষয়টি সন্দেহ জনক হলে দরজা খোলার চেষ্ঠা করি। আমার চিৎকারে সুলতান দরজা খুলে এবং ঘরে প্রবেশ করে মার দেহ ঝুলে আছে দেখতে পেয়ে সুলতানকে আটকানোর চেষ্ঠা করি এবং সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাকে আটকানো সময় তার পরনের কাপড়ের একটি বোতাম আমার হাতে চলে আসে।

স্বামী নারায়ন দেবনাথ বলেন, আমার স্ত্রীকে খোকনই হত্যা করেছে। আর এই ঘটনার স্বাক্ষী আমার মেয়ে ও চার বছরের শিশু ছেলে। আমি এমন ন্যক্কারজনক হত্যার সাথে জড়িতদের অভিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের দাবী চাচ্ছি।

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে মহিলাটি ও অভিযুক্ত ছেলেটির সাথে পরকিয়ার সর্ম্পক ছিল! মৃত্যুর ঘটনার পূর্বে তাদের দুই জনের মধ্যে কিছু মারামারি হয়েছে। মরদেহে মারামারি চিহ্ন পাওয়া গেছে তবে মৃত্যু হওয়ার মতো কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রির্পোট পাওয়ার পর পরর্বতি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে ব্যবসায়ীর নামে মিথ্যা খবর প্রচার করে হয়রানির অভিযোগ

মুরাদনগরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

আপডেট সময় ০৩:৫৫:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মে ২০২২

মোঃ মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে ফাঁস লাগানো অবস্থায় লক্ষী রানী দেবনাথ (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করে অত্মহত্যা বলে চালানো হচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযোক্ত পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সদরের নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নিমাইকান্দি এলাকার এক ভাড়া বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে মুরাদনগর থানা পুলিশ।

মৃত্যু লক্ষী রানী দেবনাথ (৩৫) উপজেলা সদর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের নারায়ন দেবনাথের স্ত্রী ও যাত্রাপুর গ্রামের হরিপদ চন্দ্র দেবনাথের মেয়ে।

মেয়ে বর্ষা রানী দেবনাথ (১৪) অভিযোগ করে বলেন, আমাদের পরিবারের সাথে উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নোয়াকান্দি গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে সুলতান মিয়ার (২৮) সুসর্ম্পক ছিল। সুলতানের সাথে আমাদের টাকার লেনদেনর ছিলো। ওই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে কিছু দিন থেকে বিরোধ চলছিলো। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সুলতান আমাদের বাড়িতে আসে এবং মায়ের সাথে কথা বলছিল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতা-হাতি হয়। তা দেখে আমার ছোট ভাই (৪) চিৎকার করলে সুলতান ছোট ভাইকে গালে থাপ্পর দেয় এবং ঘর থেকে বাহির করে দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। কিছুখন পর আমার বিষয়টি সন্দেহ জনক হলে দরজা খোলার চেষ্ঠা করি। আমার চিৎকারে সুলতান দরজা খুলে এবং ঘরে প্রবেশ করে মার দেহ ঝুলে আছে দেখতে পেয়ে সুলতানকে আটকানোর চেষ্ঠা করি এবং সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাকে আটকানো সময় তার পরনের কাপড়ের একটি বোতাম আমার হাতে চলে আসে।

স্বামী নারায়ন দেবনাথ বলেন, আমার স্ত্রীকে খোকনই হত্যা করেছে। আর এই ঘটনার স্বাক্ষী আমার মেয়ে ও চার বছরের শিশু ছেলে। আমি এমন ন্যক্কারজনক হত্যার সাথে জড়িতদের অভিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের দাবী চাচ্ছি।

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে মহিলাটি ও অভিযুক্ত ছেলেটির সাথে পরকিয়ার সর্ম্পক ছিল! মৃত্যুর ঘটনার পূর্বে তাদের দুই জনের মধ্যে কিছু মারামারি হয়েছে। মরদেহে মারামারি চিহ্ন পাওয়া গেছে তবে মৃত্যু হওয়ার মতো কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রির্পোট পাওয়ার পর পরর্বতি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।