ফাহাদ হোসেনঃ
কলেজের উন্মুক্ত মাঠজুড়ে বাহারি পিঠা-পুলির স্টল। পাশ থেকেই স্পিকারে ভেসে আসছে লোকসঙ্গীতের সুর। সেই সুরের আড্ডায় পিঠার স্বাদে শেকড়ের সন্ধান করছেন মেলায় আগত শির্ক্ষাথীরা। চলছে ঐতিহ্যের গ্রামীণ জীবনকে খুঁজে ফেরা। আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে ও নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলার লোকায়িত সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় দিনব্যাপী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার উপজেলার চাঁদমিয়া মোল্লা ডিগ্রি কলেজে প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সকালে ফিতা কেটে পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পিঠা উৎসব কমিটির আহবায়ক স্বপন কুমার হালদার, সদস্য এনাম আহমদ খান, মো.জাহান কিবরিয়া ভূইয়া, মোসাম্মৎ আয়েশা আক্তার, সোমা রাণী মজুমদার, সাইফুল ইসলাম, এম মোস্তাফিজুর রহমান, শারমিন ইসলাম, মো. জিয়াউল করিম ভূঞা, কলেজের প্রভাষক শহিদুল হক, গোলাম মাহমুদ, প্রান্তস কর দে, শারমিন ইসলাম, শুশুমা আক্তার, বেলেরা খাতুন, মুকবল হোসেন, এ এম শামিনা হোসেন, এস এম এরফানুল হক, নেপাল চন্দ্র চৌধুরী, জাহান কিবরিয়া ভূইয়া, মো আরিফুল ইসলাম, সানাউল্লাহ ভূইয়া, শাখওয়াত হোসেন প্রমূখ।
দিনব্যাপী চলা এ পিঠা উৎসবের ১৮টি স্টলের মধ্যে স্থান পেয়েছে শতাধিক রকমের পিঠা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, মালপোয়া, মেড়া পিঠা, মালাই পিঠা, মুঠি পিঠা, আন্দশা, কুলশি, কাটা পিঠা, কলা পিঠা, খেজুরের পিঠা, ক্ষীরকুলি, গোকুল পিঠা, গোলাপ ফুল পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, রসফুল পিঠা, সুন্দরী পাকান, সরভাজা, পুলি পিঠা, পাতা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান পিঠা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, নারকেল জিলাপি, তেজপাতা পিঠা, তেলের পিঠা, তেলপোয়া পিঠা, চাঁদ পাক্কন পিঠাসহ নানা বাহারি নামের পিঠা।