মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলা পারিবারিক কলহের জেরে চাচাকে ফাঁসাতে ভাতিজা আইয়ুব আলীর (২৭) নিজ ঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার সকালে উপজেলা সদরের একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ করে চাচা সুধন মিয়া ও তার পরিবার।
সুধন মিয়া এ সময় সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার কামাল্লা গ্রামের মৃত্যু আব্দুল গনি মিয়ার ছেলে ও আমার ছোট ভাই মোছলেম মিয়ার পরিবারদের সাথে অনেক দিন থেকে বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ১৬ মার্চ আমাদের মায়ের কুলখানী অনুষ্ঠিত হয়। ভাতিজা ফারুক একজন ডেকোরেটর ব্যবসায়ী হওয়ায় সেই অনুষ্ঠানের কার্যক্রম চালানোর জন্য ভাতিজাকে টাকার বিনিময়ে কাজ দেয়া হয়। ঐ অনুষ্ঠান শেষে তার ডেকোরেটরের কিছু মালামাল না পেলে আমার পরিবারদের সকল সদস্যদের ফারুকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনায় তখন ফারুকের আক্রমনে চাচা সুধন মিয়ার পরিবারদের আহত করে। তখন এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় কামাল্লা পরিষদের চেয়ার্যান ও ইউপির সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে এই বিষয়টি মিমাংশা করার চেষ্ঠা করা হলে ভাই মোছলেম মিয়া ঐ রায়কে অমান্ন্য করে। এ বিরোধের জেরে ভাতিজা সফিকের রান্না ঘরে গত ১২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে আগুন দিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর অপচেষ্ঠা করছে। এবং এ ঘটনা সাজিয়ে আমার পরিবারের ৮সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় নাকি অভিযোগ করেছে আইয়ূব আলী। তিনি এঘটনার নিন্দা জানিয়ে সত্য গঠনা উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি করেন।
ভাতিজা আইয়ূব আলী বলেন, চাচা ও আমাদের মধ্যে অনেক দিন থেকে বিরোধ চলছিল। সেই কারনেই আমার ভাই সফিকের রান্না ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমি টের পেয়ে বাহির হওয়া মাত্র সুধনের পরিবাররা আমাকে কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনায় মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান জানান, এ বিষয়ে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।