মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
রোজ শনিবার, ১৯ সেপ্টম্বর ২০১৫ইং (মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের চাঞ্চল্যকর শামসুল ইসলাম মনির হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৪ নাম্বার আসামি দৈনিক ভোরের কাগজের মুরাদনগর প্রতিনিধি ও দৈনিক সমকালের মুরাদনগর সংবাদদাতা শরিফুল ইসলাম (ডালিম)কে শুক্রবার রাতে সাড়ে ১১টায় তার নিজ বাড়িতে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা গনধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। ইতিপূর্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে বেশ কয়েকবার অভিযান চালায়। নিহতের পারিবারিক সুত্র স্থানীয়রা জানায় নিহত মনির হত্যার পেছনে তার হাত রয়েছে ও হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার লক্ষে মুরাদনগর থানা পুলিশকে ভূল তথ্য দিয়ে উল্টো নিহত মনির ডাকাতি করতে এসে ধরা পড়েছে মর্মে ঘটনার দিন সকালে মুরাদনগর থানায় এক ডাকাতি মামলা রেকর্ড করায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের যুবক শামসুল ইসলাম মনিরকে হাত-পা, চোখ বেঁধে পিটিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি ও দৈনিক সমকালের সংবাদদাতা শরিফুল ইসলাম (ডালিম) শুত্রবার রাতে তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে জানতে পেয়ে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গনধোলাই দেয়। পরে মুরাদনগর থানা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে এসআই মাহমুদল হাছান রুবেলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ জনতার গনধোলাইয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ডিবির এস.আই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দ মুরাদনগর থানা থেকে শরীফকে গ্রেফতার করে, মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবির) কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এস.আই শাহ কামাল আকন্দ জানান, ইতিমধ্যে গ্রেফতার হওয়া মসজিদের ঈমামের জবানবন্দী এবং গৃহকর্ত্রী নাছিমার সম্পৃক্ততার প্রমান পাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে আমরা শরীফকে আটক করি। জিজ্ঞাসাবাদকালে শরিফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা শিকার করে গুরুত্তর্পূন অনেক তথ্য দিয়েছে। যা তদন্তের সার্থে প্রকাশ করা হচ্ছে না। তথ্যগুলো যাচাই বাচাই করা হচ্ছে। শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কাজিয়াতল গ্রামের সামসুল ইসলাম মনিরকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে একই গ্রামের মোহাম্মদ আলী টাকা নিয়েছিল। গত ১৪ জুলাই মঙ্গলবার ভোরেসেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে মোহাম্মদ আলী মনিরকে ভোর রাতে ফোন করে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়, এবং তাকে আটকে রেখে মসজিদের মাইকে বাড়ীতে ডাকাত পড়েছে ঘোষণা দিলে উত্তেজিত গ্রামবাসী প্রকাশ্যে নির্যাতন চালিয়ে ও পায়ের রগ কেটে মনিরকে হত্যা করে। পরে নিহত মনিরের বাবা মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি এখন জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি)’র হাতে তদন্তাধীন রয়েছে।