মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ জেলার মুরাদনগরের মৎস্য ব্যবসায়ী মোস্তাক হত্যার রহস্য বের করেতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আমির হোসেন নামের এক ঘাতক শুক্রবার বিকালে কুমিল্লার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারি মুরাদনগর থানাধীন পাঁচপুকুরিয়া গ্রামের
মোস্তাক মিয়া (৩৮) নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় স্ত্রী পারভীন আক্তার মুরাদনগর থানায়
নিখোঁজ ডায়েরী করেন। পরবর্তীতে গত ২৭ জানুয়ারি তার লাশ একই উপজেলার বাঁশকাইট গ্রামের মরিচা খালের উপর পাওয়া যায়। লাশ উদ্ধারের সময় নিহতের শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন ছিল। খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পারভীন বেগম বাদী হইয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো: শাহ শাহ আবিদ হোসেনের নির্দেশে মামলার তদন্ত শুরু করেন জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম।
এ বিষয়ে এসআই শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম জানান, ওই হত্যাকান্ডের সময় বড় ধরনের কোন ক্লু না পাওয়া গেলেও পরে তদন্তে এ হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত মোঃ আমির হোসেন (৪৮) নামের এক ব্যক্তির সম্পৃত্ততা পেয়ে বৃহম্পতিবার তাকে নগরীর রেইসকোর্স থেকে আটক করা হয়।
তিনি মুরাদনগর বার্তা ডটকমকে বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডে জড়িত
থাকার কথা স্বীকার করে। ঘাতক আমির হোসেন মুরাদনগর উপজেলার শরমাকান্দা গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র। ঘাতক মোঃ আমির হোসেন গত ইউপি নির্বাচন এবং স্থানীয় মাছের প্রজেক্ট নিয়া বিরোধের জের ধরে টাকার বিনিময়ে মোস্তাককে খুন করেছে বলে পুলিশ ও আদালতের নিকট স্বীকার করেছে। শুক্রবার বিকালে আমির হোসেন কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শাহনাজ মুনির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুরাদনগর বার্তা ডটকমকে জানিয়েছেন।