মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে শরিফুল ইসলাম নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম উপজেলার শ্রীকাইল কৃষ্ণ কুমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি শিক্ষক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্রীকাইল কৃষ্ণ কুমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়ে বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাইভেট পড়াতেন ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শরিফুল ইসলাম। শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে তার বাবা-মা শিক্ষক শরিফুল ইসলামকে আর প্রাইভেট পড়াতে হবে না বলে বাসায় যেতে বারন করেন। এতেও ক্ষান্ত হয়নি শরিফ গত বছরের নভেম্বর মাসে উপজেলা পর্যায়ে কুইজ প্রতিযোগীতার অংশ হিসেবে স্কুলে প্রস্তুতিমূলক ক্লাশে ওই ছাত্রীকে নানা ভাবে যৌন হয়রানি করতেন। বিষয়টি ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল উদ্দিন সরকারের নিকট মৌখিক অভিযোগ করলে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি শিক্ষক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এরপর থেকে শিক্ষক শরিফুল ইসলামের শুরু হয় নতুন কৌশল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে (চধর ঝড়নঁল) নামের একটি আইডি থেকে শুরু হয় ওই শিক্ষার্থীর নামে বিভিন্ন ধরণের কু-রুচি পূর্ণ মন্তব্য। বিষয়টি নজরে আসার পর গত ১৪ই আগষ্ট শিক্ষক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল উদ্দিন সরকারের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থীর মা।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর মা জানান, এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি যথাযত পদক্ষেপ না নেন। তাহলে আমরা শিক্ষক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিবো। অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, শোকজ পেয়েছি, যথা সময়ে জবাব দেয়া হবে।
এ বিষয়ে শ্রীকাইল কৃষ্ণ কুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল উদ্দিন সরকার বলেন, গত ১৪ আগস্ট বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের নিকট থেকে সহকারী শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলামের বিরোদ্ধে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা সভা করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরোদ্ধে ১৮ই আগস্ট শোকজ পত্র পাঠিয়েছি। সেখানে সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগের সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিষেক দাশ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খবর নিচ্ছি, দোষ প্রমাণীত হলে অবশ্যই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।