এন এ মুরাদঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা ডি আরএস উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী (১৫) কে ধর্ষনের ঘটনায় স্কুল কমিটি জরুরি সাধারন সভা ডেকে ওই স্কুলের শিক্ষক আবু হানিফকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
১৩মে স্কুল কমিটি একটি জরুরী সভা ডাকেন, ওই সভায় কমিটির ১১ জনের মধ্যে ১০জনই উপস্থিত ছিলেন, তখন স্কুল কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা মিলে অভিযোক্ত শিক্ষক আবুহানিফকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেন।
সিদ্ধান্ত গৃহিত হলে সাময়িক বহিষ্কারের অনুলিপি জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড , মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মমর্তা , ও উপজেলা শিক্ষা অফিসহ সংস্লিষ্ট সকল দপ্তরে বরাবর প্রেরন করা হয়।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার সাময়িক বহিষ্কারের কথা স্বীকার করে বলেন, ধর্র্ষনের অভিযোগে জেলে থাকা শিক্ষক আবু হানিফের দ্বারা স্কুলের মানসন্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। যতদিন মামলা চলবে এবং মামলা থেকে অব্যহতি না পাবে ততদিন ওই শিক্ষক বহিষ্কারে থাকবে। আদালতের মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করে আসতে পারলে তার চাকুরির বহিষ্কার আদেশ পুনরায় তুলে নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে স্কুলের সভাপতি আবুল আয়েস খানকে ০১৯৮৮-৮০৫৭০০ নাম্বারে কয়েক বার কল করে পাওয়া যায়নি বলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মুরাদনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল আলম তালুকদার বলেন, স্কুল কমিটি কতৃক অভিযোক্ত শিক্ষক আবু হানিফকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এমন একটি অনুলিপি পেয়েছি।
উল্লেখ্য ৭ মাস পূর্বে কামাল্লা স্কুলের এক ছাত্রীকে (১৫) জেএসএসি পরীক্ষার সাজেশন দেওয়ার কথা বলে প্রাইভেট পড়ানোর কক্ষে জোর পূর্বক ধর্ষন করেছেন শিক্ষক আবু হানিফ এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৭ মে মুরাদনগর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরন করেন। বর্তমানে ওই শিক্ষক জেলে আছেন।
এন এ মুরাদ