ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে জীবিতে লোককে মৃত্যু সনদ প্রদানের অভিযোগ

smart

বেলাল উদ্দিন আহম্মেদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উজেলায় এক জীবিত মহিলাকে ২৩ বছর আগে মৃত দেখিয়ে তার নামে মৃত্যু সনদ দিয়া অভিযোগ উঠছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। জীবিত লোককে মৃত্যু সনদ দেওয়ার বিষয়টিতে কোন দুরভীসন্ধি রয়েছে বলে মনে করে সচেতন মহল। এই নয়ে জনমনে বিরূপ প্রতিকৃয়া তৈরী হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান যাচাই-বাছাই না করে জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে মৃত্যু সনদ দি বিষয়টি রহস্য জনক।

ঘটনাটি উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন ৫নং পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের খৈয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার ৫নং পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের খৈয়াখালী গ্রামের মুন্সি বাড়ীর মৃত জয়দল হোসেনের স্ত্রী মিলন নেছা(৬৫) এর নামে গত ১৮ সেপ্টম্বর মৃত্যু সনদপত্র দেয়া হয়েছে যার নং ২০২২১৯১৮১৮১০০৫২৯৭। মৃত্যু সনদপত্রে তাকে ২৩ বছর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯খ্রী: মৃত্যু বরণ করেছেন উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবসত্য তিনি জীবিত থেকেও তার নামে মৃত্যু সনদ প্রদান করা হয়। সে মৃত জয়দল হোসেনের স্ত্রী। মিলনের নেছা উপজেলার টনকী ইউনিয়নের বাইড়া গ্রামের মৃত ছৈয়দ আলীর মেয়ে।

শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় প্রতিবেদক ওই মহিলার কথা বলে জানান এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। এ বিষয়ে তার ছেলে জাকির হোসেনের সাথে কথা বলতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর সে আর কথা বলেনি। তার মোঠোফোনে কথা বলতে চাইলে সে ফোন বন্ধ করে দেয়।

উপজেলার ৫নং পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মামুন বলেন, কিভাবে মৃত্যু সনদ দেওয়া হয়েছে এ সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। যে মিলনের নেছা নামে মৃত্যু সনদ দেওয়া হয়েছে সে বর্তমানে জীবিত আছে। সে মুন্সি বাড়ির মৃত জয়দল হোসেনের স্ত্রী ও জাকিরের মা।

এ ঘটনায় ৫নং পূর্বধইর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল রহিম পারভেছ বলেন, মিলনের নেছার মৃত সনদ পত্রটি আমার কাছে তথ্য গোপন করে নিয়েছে। আমি সম্পূর্ন অবগত ছিলাম না। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। ছেলে হাক্কানী ইউপি অফিসে কাজ করার কথা তিনি স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে সিনিয়র এডভোকেট সৈয়দ তানভীর আহাম্মদ ফয়সাল বলেন জীবিত ব্যাক্তিকে মৃত্যু সনদ দেয়া জগন্য অপরাধ। উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে বিষয়টি প্রমানিত হলে ওই চেয়ারম্যানের জেল জরিমানা বা চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারন হতে পারেন।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আলাউদ্দিন ভুইয়া জনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে তদন্ত করে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

মুরাদনগরে জীবিতে লোককে মৃত্যু সনদ প্রদানের অভিযোগ

আপডেট সময় ০১:৩৯:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২

বেলাল উদ্দিন আহম্মেদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উজেলায় এক জীবিত মহিলাকে ২৩ বছর আগে মৃত দেখিয়ে তার নামে মৃত্যু সনদ দিয়া অভিযোগ উঠছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। জীবিত লোককে মৃত্যু সনদ দেওয়ার বিষয়টিতে কোন দুরভীসন্ধি রয়েছে বলে মনে করে সচেতন মহল। এই নয়ে জনমনে বিরূপ প্রতিকৃয়া তৈরী হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান যাচাই-বাছাই না করে জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে মৃত্যু সনদ দি বিষয়টি রহস্য জনক।

ঘটনাটি উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন ৫নং পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের খৈয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার ৫নং পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের খৈয়াখালী গ্রামের মুন্সি বাড়ীর মৃত জয়দল হোসেনের স্ত্রী মিলন নেছা(৬৫) এর নামে গত ১৮ সেপ্টম্বর মৃত্যু সনদপত্র দেয়া হয়েছে যার নং ২০২২১৯১৮১৮১০০৫২৯৭। মৃত্যু সনদপত্রে তাকে ২৩ বছর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯খ্রী: মৃত্যু বরণ করেছেন উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তবসত্য তিনি জীবিত থেকেও তার নামে মৃত্যু সনদ প্রদান করা হয়। সে মৃত জয়দল হোসেনের স্ত্রী। মিলনের নেছা উপজেলার টনকী ইউনিয়নের বাইড়া গ্রামের মৃত ছৈয়দ আলীর মেয়ে।

শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় প্রতিবেদক ওই মহিলার কথা বলে জানান এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। এ বিষয়ে তার ছেলে জাকির হোসেনের সাথে কথা বলতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর সে আর কথা বলেনি। তার মোঠোফোনে কথা বলতে চাইলে সে ফোন বন্ধ করে দেয়।

উপজেলার ৫নং পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মামুন বলেন, কিভাবে মৃত্যু সনদ দেওয়া হয়েছে এ সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। যে মিলনের নেছা নামে মৃত্যু সনদ দেওয়া হয়েছে সে বর্তমানে জীবিত আছে। সে মুন্সি বাড়ির মৃত জয়দল হোসেনের স্ত্রী ও জাকিরের মা।

এ ঘটনায় ৫নং পূর্বধইর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল রহিম পারভেছ বলেন, মিলনের নেছার মৃত সনদ পত্রটি আমার কাছে তথ্য গোপন করে নিয়েছে। আমি সম্পূর্ন অবগত ছিলাম না। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। ছেলে হাক্কানী ইউপি অফিসে কাজ করার কথা তিনি স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে সিনিয়র এডভোকেট সৈয়দ তানভীর আহাম্মদ ফয়সাল বলেন জীবিত ব্যাক্তিকে মৃত্যু সনদ দেয়া জগন্য অপরাধ। উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে বিষয়টি প্রমানিত হলে ওই চেয়ারম্যানের জেল জরিমানা বা চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারন হতে পারেন।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আলাউদ্দিন ভুইয়া জনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে তদন্ত করে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।