মো: নাজিম উদ্দিনঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাখরাবাদ-ইলিয়টগঞ্জ সড়কের নরশিংহপুর এলাকা থেকে বুধবার রাতে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহন কালে ৫জন ডাকাতকে আটক করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ।

ডাকাত দলের সাথে পুলিশের ৬রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এসময় বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করে পুলিশ।

আটককৃত ডাকাত সদস্যরা হলো, মুরাদনগর উপজেলার আমপাল গ্রামের মৃত মালেক মিয়ার ছেলে মো: আনিছ(৩৫), পাহাড়পুর গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে রুবেল(২৫), নেয়ামতকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে কামাল(২২), আবু তাহেরের ছেলে আবদুল কাদের (২০), ভোলা উপজেলার দক্ষিন ইলিশা গ্রামের মৃত মোতাহার হোসেনের ছেলে বেলাল(২৮)।

জানা যায়, উপজেলার বাখরাবাদ- ইলিয়টগঞ্জ সড়কের নরশিংহপুর এলাকায় ডাকাতির করার জন্য একদল ডাকাত ২টি মাইক্রোবাস নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহন করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত সড়কে টহলরত মুরাদনগর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ নরশিংহপুর পৌছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল মাইক্রোবাস দুটোকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ ডাকাতদের গাড়ী লক্ষ্য করে ৬রাউন্ড গুলি ছোড়ে ৩ডাকাত সদস্যসহ একটি মাইক্রোবাস আটক করে। এ সময় পুলিশ ডাকাতদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল সেট, একটি রামদা ছুরি ও লোহার রডসহ বেশ কিছু দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

অন্য গাড়ীটি পালিয়ে যায়। আটককৃত ডাকাতদের তথ্য মতে নেয়ামতকান্দি থেকে কালাম ও কাদেরকে আটক করা হয়। গুলিবিদ্ধ আহতাবস্থায় ডাকাত সদস্য বেলাল মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় এসআই জালাল হোসেন বাদী হয়ে ১১জনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত ১০/১২জনকে আসামী করে ৩৯৯ ও ৪০২ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।

এব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, আটককৃত ৫জনের মধ্যে ১জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকী ৪জনকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল-হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।