মো: নাজিম উদ্দিনঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ সড়কের বোড়ারচর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশ-ডাকাতদলের বন্ধুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কামাল হোসেন (৩৫) নামের এক ডাকাত সদস্য নিহত, ৪ জনসহ গুলিবিদ্ধসহ ৬ ডাকাতকে আটক করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। এসময় ২টি এলজিসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ সড়কের ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের বোড়ারচর এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কামাল হোসেন জাহাপুর গ্রামের ইউনুছ মিয়ার ছেলে।
আটককৃত ও গুলিবিদ্ধ ডাকাত সদস্যরা হলো, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার খানে বাড়ী গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে ডাকাত সর্দার ফারুক, দাউদকান্দি উপজেলার পিপুরিয়াকান্দা গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মহসিন, চাদঁপুর জেলার কচুয়া উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের দৌলত মিয়ার ছেলে জুলহাস, জাহাপুর গ্রামের মোশাররফ মিয়ার ছেলে শাহ পরান, চান্দিনা উপজেলার বসিদপুর গ্রামের মৃত চান মিয়া ব্যাপারীর ছেলে রুবেল মিয়া, শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার উত্তরখান গ্রামের মেহেরচান গাজীর ছেলে আলমগীর হোসেন।
জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে মুরাদনগর ইলিয়টগঞ্জ-সড়কের বোড়ারচর এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাতদল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম বদিউজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবীবুর রহমানের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে সশস্ত্র ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্যকরে গুলি ছুড়ে এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। পুলিশ এসময় ২৬রাউন্ড গুলি বর্ষন করে। পুলিশের গুলিতে সশস্ত্র ডাকাত দলের প্রধান ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামী কামালসহ ৫জন ডাকাত সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়। মোট সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় পুলিশ ডাকাতদের কাছ থেকে ২ এলজি, চাইনিজ কুড়ালসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। গুলিবিদ্ধ ডাকাত সদস্যদের প্রথমে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাকাত সর্দার কামালের মৃত্যু হয়।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান জানান, গভীর রাতে বোরার চর ব্রিজের কাছে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে টহল পুলিশসহ আমরা সেখানে অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় সশস্ত্র ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। পুলিশের গুলিতে ৫ডাকাত আহত হয় পরে চিকিৎসাধী অবস্থায় এক ডাকাত মারা যায়। ৪জন ডাকাত কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।